সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বানিয়ে বিশ্ব জুড়েই এখন ভিলেনের তকমা পেয়েছেন রাশিয়ান সরকারের শীর্ষ কর্তারা। খোদ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাশিয়ার অসংখ্য মানুষ।
রাশিয়ার (Russia) আক্রমণে ইউক্রেনে (Ukraine) ভিতরে আটকে রয়েছে অসংখ্য মানুষ। এদের মধ্যে আবার প্রচুর সংখ্যক বিদেশি। যারা হয় পড়াশোনা করতে না হয় কর্মসূত্রে ইউক্রেনে বসবাস করছেন। যুদ্ধের জন্য এঁরা এখন সকলেই নিজ নিজ দেশে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু বাধা হয়ে যাচ্ছে যুদ্ধে ক্ষেত্রের লাগাতার বোমা বর্ষণ এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এই অবস্থায় ইউক্রেন থেকে সাধারণ মানুষজনকে বের করতে সমানে চাপ বাড়ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের উপরে (Russia-Ukraine Crisis)। বিশেষ করে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি (Russia Announces Ceasefire) ঘোষণা না করলে এই সব মানুষজনকে ইউক্রেন থেকে বের করা যাচ্ছিল না বলেও আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহল বলে আসছে। এমন এক পরিস্থিতিতে অবশেষে কিছু সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। তারা জানিয়েছে ভারতীয় সময় প্রতিদিনি সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১.৩০ পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ থাকবে (Ceasefire will be lasted from 6am to 11am IST)। এই সময়ের মধ্যে মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। রুশ সরকারের সরকারি সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক (Russian Government Channel Sputnic) একথা ঘোষণা করেছে।
রাশিয়া অবশ্য এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি এলাকার নাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। এগুলি হল মারিউপুল (Mariupol), ভোলনোভাখা (Volonovakha)। এই দুই এলাকায় আটকে থাকা সাধারণ মানুষ জন এই করিডরের সুবিধা নিতে পারবেন বলেই জানা গিয়েছে। কিয়েভ এবং খারকিভে-ও অসংখ্য মানুষ এখনও আটকে রয়েছেন। এদের জন্য কোনও হিউম্যানিটেরিয়ান করিডর-এর সুবিধা মিলবে কি না জা জানায়নি রাশিয়া।
ইউক্রেনে সরকারি হিসাবে অন্তত ২০ হাজার ভারতীয় আটকে ছিল (Stranded Indian Students)। যুদ্ধ শুরুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত ৫ হাজার ভারতীয়কে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছিল। এরপর অপারেশন গঙ্গা (Operation Ganga) নামে ইউক্রেন থেকে আটকে থাকা ভারতীয়দের বের করতে উদ্ধারে নেমেছে ভারত সরকার। সরকারি সূত্রে খবর এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ভারতীয়কে পোল্যান্ড, রোমানিয়ার মধ্যে দিয়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যদিও, দেশে ফেরত আসা ভারতীয়রা এবং নানা সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের ভিডিও-তে দাবি করা হয়েছে এখন অন্তত ১০ হাজারেরও বেশিজন ভারতীয় ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন। এরা কোনওভাবেই ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছেন না। অনেকে জীবন হাতে করে যুদ্ধের বোমা হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিশানার মধ্যে দিয়েই ইউক্রেনের সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছেন অথবা করেছেন। রাস্তায় ইউক্রেন সেনা থেকে শুরু করে রুশ সেনাদের হাতেও হেনস্থার স্বীকার হতে হচ্ছে বলে এই ভারতী ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন|এগিয়ে ভারত, যুদ্ধের দশম দিনে প্রথম চার্টার্ড বিমানে ইউক্রেন থেকে নাগরিকদের উদ্ধার চিনের
আরও পড়ুন|'সন্তানের নাম অপারেশন গঙ্গার নামানুসারে দেব' ইউক্রেন থেকে গর্ভবতী স্ত্রীকে উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়া এক ভারতীয়র
আরও পড়ুন|'যুদ্ধ নয় শান্তি চাই', প্রথম চাটার্ড বিমানে ইউক্রেন থেকে দেশে পৌঁছে জানালেন ২ চিনা পড়ুয়া