করোনা-র পর এঁটেল পোকা-বাহিত 'বুনিয়া ভাইরাস', বিশ্বে আরও এক বিপদ হাজির করল চিন

করোনাভাইরাসের বিপদ এখনও বাড়ছে

রমধ্যেই চিনে আরও এক মারাত্মক রোগের উদয় হল

এঁটেল পোকা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বুনিয়া ভাইরাস

ইতিমধ্য়েই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের, হাসপাতালে ভর্তি ২৩ জন

করোনাভাইরাসের বিপদ এখনও বাড়ছে। তারমধ্যেই ফের আরও এক মারাত্মক মহামারি রোগের উদয় হল। উৎস স্থল সেই চিন। জানা গিয়েছে এই রোগের জীবানু ছড়াচ্ছে এঁটেল পোকা থেকে। ইতিমধ্য়েই গত এপ্রিল মাস থেকে চিনে এই নয়া সংক্রাামক রোগে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৩ জন গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোগটিকে বলা হচ্ছে সিভিয়ার ফিভার ইউদ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম বা এসএফটিএস।

চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব চিনের আনহুই প্রদেশের লুয়ান কাউন্টির স্থানীয় স্বাস্থ্য কমিশন শুক্রবার রাতে এই সংক্রামক রোগ ছড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসএফটিএস একটি 'এঁটেল পোকা-বাহিত নতুন বুনিয়া ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ'। এপ্রিল থেকে জিনজাই এলাকায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৩ জন-কে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। চিনের তথ্য চাপার ইতিহাস মাথায় রাখলে গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত এই পরিসংখ্যানের থেকে প্রকৃত সংখ্যাটা যে অনেক বেশি হবে, তা ধরেই নেওয়া যায়।

Latest Videos

জানা গিয়েছে, এর আগে এই সকল মৃত্যু এবং আক্রান্ত রোগীদের ডেঙ্গু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল। কারণ এই রোগটির উপসর্গ হল গুরুতর জ্বর, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, বমি বমি ভাব এবং বারবার বমি হওয়া - অর্থাৎ ডেঙ্গুর সঙ্গে বিশেষ অমিল নেই। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে, এই রোগ উৎপত্তি এঁটেল পোকার কামড়ে সৃষ্টি হওয়া এসএফটিএস। লুয়ান একটি পার্বত্য অঞ্চল। ক্ষেতখামারে কাজ করা গ্রামবাসীরা এঁটেল পোকা এবং জোঁকের কামড় খেয়েই থাকে। তাতেই সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
 
গ্লোবাল টাইমস এই রোগকে 'উদীয়মান' নতুন রোগ বলে দাবি করলেও, বিভিন্ন গবেষণা ঘেঁটে জানা যাচ্ছে, অন্তত ২০১১ সাল থেকেই চিনের বিভিন্ন জায়গায় এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে। গত বছরই 'নেচার' পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে চিনে মোট ৫,৩৬০ টি এসএফটিএস-এর কেস গবেষণাগারে নিশ্চিত করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগের শিকার হয় ৪০ বছর থেকে ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা। ২০১১ সালে চিনের ৯৮ টি কাউন্টি-তে এই সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬৭।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury