গত ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন মুলুকে করোনা প্রাণ কাড়ল শতাধিক, সব ভুলে কিমের প্রশংসায় ব্যস্ত ট্রাম্প

  • উত্তর কোরিয়া কোনও করোনা সংক্রমণের ঘটনা নেই
  • দাবি করছে পিয়ংইয়ং প্রশাসন
  • কিমের ভূমিকায় অভিভূত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
  • এবার কিমকে চিঠি লিখলেন ট্রাম্প

Asianet News Bangla | Published : Mar 23, 2020 5:16 AM IST / Updated: Mar 23 2020, 10:51 AM IST

করোনা ভাইরাসের দাপটে একেবারে বিপর্যস্ত পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত চব্বিশ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ ভাইরাসের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন  শতাধিক মানুষ। যার জেরে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় চারশোর কাছাকাছি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন এবং ক্যালিফোনির্য়ার। পরিস্থিতি সামল দিতে দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। মার্কিন মুলুকের বড় বড় শহরগুলি লকডাউন করে রাখা হয়েছে। দেশে যখন করোনা নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব তখন উত্তর কোরিয়র সর্বময় কর্তা কিম জং উনের প্রশস্তিতে নাকি ব্যস্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বর্তমানে বিশ্বের ১৯২টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। আক্রান্ত পৃথিবীর তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যাটা ১৩ হাজারেরও বেশি। চিনের থেকে করোনা ছড়িয়েছে জাপান , দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত সহ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও। কিন্তু এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতেও উত্তর কোরিয়া যেভাবে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করেছে তাতে নাকি মুগ্ধ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর তাইজন্য নাকি উত্তর কোরিয়ার সর্বময় কর্তা কিমকে চিঠিও দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনটাই দাবি করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর তরফে।

প্কিমকে লেখা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চিঠির কথা জানিয়েছেন কিমের বোন কিম জং আনও।চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এবং মহামারি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে সহযোগিতা করতে চেয়েছেন।

ট্রাম্পের পাঠানো এই চিঠির ইতিমধ্যে প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন কিম। উত্তর কোরিয়ার দাবি এখনও সেই দেশে করোনা সংক্রমণ ঘটেনি। করোনাভাইরাসের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য তাই কিমের ভূমিকায় নাকি অভিভূত ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই কাজে কিমের সহযোগিতাও চেয়েছেন। সেই চিঠির বয়ান উদ্ধৃত করে কেসিএনএর তরফে জানান হয়েছে, 'ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর হওয়া সত্ত্বেও নিরপেক্ষতা ও ভারসাম্য রক্ষা করা না যায় এবং স্বার্থান্বেষী উদ্দেশ্যকে যদি দূর করা না যায় তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত হয় না।"

অন্যদিকে মার্কিন প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, কিম জং উনকে পাঠানো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই বার্তা মহামারীর বিরুদ্ধে বিশ্বের সমস্ত নেতাকে একত্রিত করার লাগাতার প্রয়াসেরই ফল। ভবিষ্যতে এই দুই দেশনেতার যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে, হোয়াইট হাউসের তরফে এমনটাই আশা করা হচ্ছে বলেও জানান ওই আধিকারিক।

আজ থেকে লকডাউনে কলকাতা, করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়, বলছে 'হু'

করোনা যেন ওদের কাছে আশীর্বাদ, জনতা কারফিউতে রাজপথে নিজেদের অধিকার ফলাল পক্ষিবাহিনী

করোনা আতঙ্কের মাঝে মাস্ক পরে বিয়ের পিঁড়িতে বর-কনে, রিটার্ন গিফটে দিলেন স্যানিটাইজার

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই উত্তর কোরিয়ার সর্বময় কর্তা কিমের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেন ট্রাম্প। তিনবার শী৪ষ বৈঠকেও বসেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। তারপরেও অবশ্য পিয়ংইয়ং নিজেদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণান্ত্র প্রযোগ ও পরীক্ষা থেকে নিরস্ত হয়নি। এমনকি গত শনিবার বিশ্বজুড়ে করোনা সংকটের মধ্যেও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় দেশটি। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার সর্বময়কর্তাকে ট্রাম্পের চিঠি দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা কমিয়ে আনতে কতটা কার্যকর হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আন্তর্জাতির রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা। 

Share this article
click me!