রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। আশঙ্কা প্রকাশ করেই ব্যবস্থা নিচ্ছে আমেরিকা। অন্যদিকে কিয়েভ যেতে পারে পোপ।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক বোমা ও অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল ইউক্রেন। তবে এবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে- তেমনই আশঙ্কা হোয়াইট হাউসের। আর সেই কারণে এখন থেকেই ইউক্রেনীয়দের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার রাসায়নিক বোমার হাত থেকে ইউক্রেনীয়দের বাঁচাতে জীবনদায়ী সরঞ্জাম সরবরাহ করার পরিকল্প নিয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, ব্রিটেন ও বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা করছে। রাশিয়া এই নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। কিন্তু এখন থেকেই এই বিষয়েয় সাবধান হওয়া জরুরি। তাই রাশিয়ার হাত থেকে ইউক্রেনীয়দের বাঁচাতে আমেরিকা জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম সরবরাহ করতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেছেন মার্কিন সহায়তা কোনও ঘরোয়া প্রস্তুতির সঙ্গে আপোষ করে না।
হোয়াইট হাউস শুক্রবার আরও বলেছে, দেশের জন্য যদি এজাতীয় সরঞ্জাম প্রয়োজন হয় তাহলে কোনও সমস্যা হবে না। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রেখে তবেই ইউক্রেনে বাকি জিনিস সরবরাহ করা হবে। আমেরিকা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে চায়। সেই কারণেই এই জাতীয় পদক্ষেপ করছে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন রাশিয়া যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই তার পাল্টা জবাব দেবে ন্যাটো বাহিনী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ানো আর নিরাপত্তা সাহায্য প্রদান করার জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে। আগেই ওয়াশিংটন ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য নিজের দেশের দরজা খুলে দিয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপের যেসব দেশগুলি ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াবে তাদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। পোল্যান্ডে গিয়ে বাইডেন ইউক্রেনীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই সময় পোল্যান্ড রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা করলে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে ইউক্রেনীয়দের পাশে দাঁড়াচ্ছে পোপ ফ্রান্সিস। তিনি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ যাওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন। সম্প্রতি তাঁকে কিয়েভে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রশাসন ও ধর্মীয় নেতারা। তিনি আরও জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে তিনি টেলিফোনে কথা বলেছেন। আগেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এই সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা করেছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের জন্য তিনি প্রার্থনা করছেন। পাশাপাশি সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস।