পৃথিবীর আশেপাশে এলিয়েনদের উপস্থিতি কি রয়েছে? ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের খুঁজে বের করার দাবি নাসার

গবেষকরা বলেছেন, আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা ২০৩০ সালের মধ্যে এলিয়েন আবিষ্কার করবে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে নাসা খুঁজে বের করবে যে এই এলিয়েনরা কোথায়?

Parna Sengupta | Published : Mar 25, 2024 9:20 AM IST

সত্যিই কি এলিয়েন আছে? তারা যদি এই মহাবিশ্বে থাকে তাহলে তারা কোথায়? ওরা যদি আমাদের দেখছে তাহলে কোথা থেকে দেখছে? বহু বছর ধরে, সারা বিশ্বের এজেন্সিগুলি অনুসন্ধান করছে যদি এই পৃথিবীতে এলিয়েন থাকে তবে তারা কোথায়? কারণ অনেকবার দাবি করা হয়েছে যে পৃথিবীতে এলিয়েন এসেছে এবং তাদের ইউএফওকে অবতরণ করতেও দেখা গেছে। এমনটাই দাবি করেছেন আমেরিকার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গবেষকরা বলেছেন, আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা ২০৩০ সালের মধ্যে এলিয়েন আবিষ্কার করবে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে নাসা খুঁজে বের করবে যে এই এলিয়েনরা কোথায়?

এই মিশনে হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে নাসা

বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় এলিয়েনদের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। এখন তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিতে অভিযান চালানো হবে। চলতি বছরের অক্টোবরে ইউরোপা ক্লিপার নামে একটি মহাকাশযান মহাকাশে পাঠাতে চলেছে নাসা। ইউরোপা ক্লিপার সাড়ে পাঁচ বছর ভ্রমণ করবে, তারপরে এটি বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় পৌঁছাবে। এখানে পৌঁছানোর পর ওই চাঁদে প্রাণের নিদর্শন খোঁজা শুরু করতে চলেছেন। এই মহাকাশযানটি তৈরি করতে ১৭৮ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অক্টোবরে উৎক্ষেপণের পর, ইউরোপা ক্লিপার ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপা চাঁদে যাত্রা শেষ করবে।

কেন নাসা ইউরোপায় ফোকাস করছে?

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলেছেন, ইউরোপা ক্লিপার মহাকাশযানটি আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত। এই যন্ত্রগুলি ইউরোপা চাঁদের মহাসাগর থেকে উদ্ভূত ছোট বরফের কণাগুলিতে প্রাণ রয়েছে কিনা তাও সনাক্ত করতে পারে। যন্ত্রের মাধ্যমে পৃথিবীতে জীবনের জন্য দায়ী সেই রাসায়নিকগুলোও শনাক্ত করা যায়। ইউরোপা চাঁদ সম্পর্কে, দাবি করা হয় যে এখানে বিশাল মহাসাগর রয়েছে এবং তাদের উপর বরফের মোটা আস্তরণ রয়েছে।

এখানে এলিয়েন থাকতে পারে

বরফের চাদরের নিচে জীবন থাকতে পারে, যদিও এখানে এলিয়েন থাকতে পারে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। দাবি করা হচ্ছে এখানে এলিয়েন থাকলেও তারা ছোট জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া আকারে থাকবে। এ কারণেই নাসা গবেষণার জন্য ইউরোপাকে বেছে নিয়েছে। কারণ সেখানে জল আছে এবং জল থাকলে জীবনও থাকতে পারে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Read more Articles on
Share this article
click me!