Donald Trump On BBC: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে বিভ্রান্তিকর খবর সম্পাদনা ও প্রচারের অভিযোগ। ব্রিটিশ ব্রডকাস্ট কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে তোলপাড় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের দুনিয়া। কঠোর সিদ্ধান্ত বিবিসি কর্তার।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার মূলক তথ্য সম্পাদনার অভিযোগ। ঘটনার দায় নিয়ে চাকরি থেকে পদত্যাগ করলেন বিবিসি-র দুই শীর্ষ কর্তা। পদত্যাগী দুই কর্তা হলেন ব্রিটিশ ব্রডকাস্ট কর্পোরেশনের ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি ও খবর সম্প্রচার বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস। চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া দুই শীর্ষ কর্তাই নাকি শিকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নামে যে খবরগুলি তারা প্রচার করেছেন বা সম্পাদনা করেছেন তা তাদের প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকীয় নীতির বিধিভঙ্গ করেছে।
25
ট্রাম্পের নামে কী খবর প্রচার করা হয়েছে?
সূত্রের খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মূলক তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল বিবিসি। ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালে। সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল হিলে হামলা হয়। সেই সময় হামলার অভিযোগ ওঠে পরাজিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সেদিনের সেই হামলার ঘটনায় ট্রাম্পকেই ভিলেন বানানো হয়েছিল। সেই সময় ট্রাম্পের ভাষণ এমন ভাবে সম্পাদনা করা হয়েছিল যে আদতে তা পড়ে মনে হবে ক্যাপিটাল হিলে হামলার জন্য ট্রাম্প প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছিলেন।
35
হোয়াইট হাউসের আপত্তি কোথায়?
জানা গিয়েছে, বিবিসি-র তৈরি করা সেই সংবাদ নিয়েই আপত্তি জানায় হোয়াইট হাউস। সূত্রের খবর, বিবিসির এই তথ্যচিত্র নিয়ে প্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিনা লেভিট। তাঁর দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব তিনি আরও জানান যে, ট্রাম্প বরং সেই ঘটনার সময় ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। তাহলে সেই বক্তব্য কেন সম্পাদনা করে ভুল বার্তা দিচ্ছে বিবিসি? যা নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল বিবিসি কর্তার উপরে। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ওই দুই কর্তা। এমনকি গোটা বিষয়টি যে তাদের সম্পাদকীয় নীতি ভেঙেছে সে কথাও শিকার করে নেন পদত্যাগী দুই কর্তা।
55
ট্রাম্পের রোষে বিবিসি নিউজ
বিবিসি বা ব্রিটিশ ব্রডকাস্ট কর্পোরেশন হল বিশ্বের অন্যতম পুরনো ও খ্যাতনামা সংবাদ সংস্থা। আর তাদের বিরুদ্ধেই উঠেছে সংবাদের অপপ্রচার, ভুল মানে করার মতো গুরুতর অভিযোগ। ভেঙেছে সম্পাদকীয় নীতি। শুধু তাই নয়, এদিন বিবিসি দুই শীর্ষ কর্তার পদত্যাগের খবরে চাপের মুখে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলি।