নায়াগ্রা জলপ্রপাত ঘুরে বাড়ি ফেরার পথে নিউ ইয়র্কের কাছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পর্যটক বোঝাই বাস। জানা গিয়েছে, বাসটিতে প্রায় ৫৪ জন বেশি যাত্রী ছিলেন। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটিতে মোট ৫৪ জন যাত্রী ছিলেন, যারা নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে নিউ ইয়র্ক সিটিতে যাচ্ছিলেন। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি এবং কেন এই ঘটনা ঘটল তার তদন্ত চলছে।
25
কী কারণে এই দুর্ঘটনা?
এই বিষয়ে স্টেট পুলিশের মেজর আন্দ্রে রে জানিয়েছেন, দুপুর ১২:৩০ নাগাদ বাসের চালক কোনও কারণে অন্যমনস্ক হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপর দ্রুত গতিতে বাসটিকে সোজা করতে গেলে তা উল্টে রাস্তার ডানদিকে ছিটকে যায়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী মারা যান। আহতদের মধ্যে ১ থেকে ৭৪ বছর বয়সী অনেক যাত্রী ছিলেন, যাদের অনেকে বাসের ভেতর আটকে পড়েছিলেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
35
দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় পর্যটকরাও
নিউ ইয়র্ক স্টেট পুলিশের মুখপাত্র ট্রুপার জেমস ও’ক্যালাঘান জানান, পূর্বদিকগামী বাসটি একটি খাদে পড়ে গেলে এর জানালাগুলো ভেঙে যায় এবং বেশ কিছু যাত্রী ছিটকে বাইরে পড়ে যান। তিনি আরও বলেন, "এই মুহূর্তে আমাদের কাছে একাধিক মৃত্যুর খবর রয়েছে, এবং অনেকে বাসের ভেতরে আটকে আছেন, আহতও হয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে শিশুরাও ছিল।" তিনি আরও জানান যে বেশিরভাগ যাত্রী ভারতীয়, চিনা এবং ফিলিপাইন্সের।
এই দুর্ঘটনার পর আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে একাধিক হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়। মার্সি ফ্লাইট এয়ার মেডিকেল ট্রান্সপোর্ট এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো আহতদের বাফেলোর এরি কাউন্টি মেডিকেল সেন্টারসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। দুপুর ২:১০ নাগাদ, এরি কাউন্টি মেডিকেল সেন্টারে অন্তত আটজন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
55
দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ সরকারের
এই মর্মান্তিক ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল। তিনি বলেন, ‘’পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়েল স্টিফেন্স, যিনি মেডিনার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, দুর্ঘটনাস্থলে বাসের ভাঙা জানালা, যাত্রীদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এদিকে, উদ্ধার অভিযান চলাকালীন কর্তৃপক্ষ থ্রুওয়ের একটি বড় অংশ উভয় দিকে বন্ধ করে দিয়েছে এবং গাড়ি চালকদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়েছে।