
John Bolton: বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার কৌশল কি সারা বিশ্বে একরকম? না হলে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র অত্যন্ত মজবুত বলে শোনা যায়, সেখানে প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করার পরের দিনই কেন বাড়িতে তল্লাশি হবে? ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি এবং ভারতের উপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেন তাঁরই প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। পরদিনই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। বোল্টনের বিরুদ্ধে গোপন সরকারি নথি অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তবে তাঁকে আটক করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত মামলা দায়ের করাও হয়নি। সরকারিভাবে এ বিষয়ে এফবিআই-এর পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে এফবিআই ডিরেক্টর কাশ প্যাটেল (FBI director Kash Patel) 'এক্স' হ্যান্ডলে লেখেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। এফবিআই এজেন্টরা নিজেদের কাজ করছেন।’ অনেকেই বলছেন, ভয় দেখিয়ে বোল্টনের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।
এফবিআই তল্লাশির মধ্যেই ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার (Nobel Peace Prize) পাওয়ার আকাঙ্খা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) থামানোর জন্য মধ্যস্থতা করা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বোল্টন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘রাশিয়া নিজেদের লক্ষ্য বদলায়নি। ইউক্রেনকে রাশিয়ার সাম্রাজ্যের নতুন অংশ করে তোলাই লক্ষ্য। মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেন নিজেদের ভূখণ্ড সমর্পণ করেছে। দোনেৎসকও রাশিয়ার দখলে এসেছে। জেলেনস্কি কোনওদিন সেটা করবেন না। কিন্তু এরই মধ্যে বৈঠক চলবে। কারণ, ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার চান। আমার মনে হয় না আলোচনার মাধ্যমে কোনও লাভ হবে।’
এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের সমালোচনা করে বোল্টন বলেছেন, ‘ট্রাম্প অস্বাভাবিক প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার উপর নতুন করে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। চিনের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। ওরা রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল ও গ্যাস কেনে। তা সত্ত্বেও ভারতকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।