
India-Pakistan Nuclear Tensions: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব দাবি করেছেন। ফক্স নিউজের ব্রেট বেয়ারের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন যে, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাণিজ্যকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন, কারণ পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা ছিল যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারত। বেয়ার ট্রাম্পকে তাঁর "বিদেশ নীতির সাফল্য" সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন, "এই সফরের আগেও আপনার বেশ কয়েকটি বিদেশ নীতির সাফল্য ছিল। আপনি ফোন তুলে দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ, ভারত ও পাকিস্তানকে ফোন করেছিলেন এবং তাদেরকে পরমাণু সংঘর্ষের মুখোমুখি হওয়া থেকে সরিয়ে এনেছিলেন। এখানে আসার পথে বিমানে ওঠার আগে এটি ছিল একটি সাফল্য।" এর জবাবে ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শত্রুতার অবসানকে "আমাকে যতটুকু কৃতিত্ব দেওয়া হবে তার চেয়েও বড় সাফল্য" বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, "ওরা বড় পরমাণু শক্তিধর দেশ... এবং সংঘর্ষের মত অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল। পরবর্তী ধাপ ছিল প্রতিশোধ নেওয়ার মত অবস্থায়। এটি আরও গভীর এবং আরও ক্ষেপণাস্ত্রের দিকে যাচ্ছিল। সবাই শক্তিশালী ছিল, এমন এক পর্যায়ে যেখানে পরেরটি হতে চলেছিল 'পরমাণু' যুদ্ধ।"
প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে সম্ভাব্য পরমাণু সংঘাত সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, "এটি 'পরমাণু' শব্দ। এটি অনেক দিক থেকেই খুবই খারাপ একটি শব্দ। পরমাণু মানেই হল পরমাণু যুদ্ধ। এটিই সবচেয়ে খারাপ জিনিস যা ঘটতে পারে, এবং আমি মনে করি তারা খুব কাছাকাছি ছিল। ঘৃণা প্রচণ্ড ছিল। আমি বলেছিলাম, আমরা বাণিজ্য নিয়ে কথা বলব। আমরা অনেক বাণিজ্য করব... আমি বাণিজ্য ব্যবহার করছি সমস্যা সমাধান করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।", তিনি বেয়ারকে বলেছিলেন।
৭ মে ভোরবেলায় ভারত কর্তৃক চালু করা অপারেশন সিন্দুরের পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিল। ৫ মে পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে নয়টি সন্ত্রাসবাদী স্থানকে লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান শত্রুতার অবসানের ব্যাপারে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছিল। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শত্রুতার অবসানকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন যে, শান্তি প্রতিষ্ঠা না হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যেতে পারত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন।