
Donald Trump: চলতি ২০২৫ কিংবা তারপর তাঁর চিন সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump's China policy)। যা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কূটনৈতিক দিক দিয়েও এটি বেশ উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত বলেই মত অনেকের। কারণ, চিন সফরে যেতে পারেন বলে ঘোষণা করেছেন খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। সেটা এই বছর বা পরে (trump china news)।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, উচ্চ শুল্কের সমস্যা থাকলেও এই দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেকটাই উন্নত হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে ইন-এর সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করার সময়, ট্রাম্প এই কথা বলেন। এমনকি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয়, চিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায়, “তাদের হাতে কিছু তুরুপের তাস রয়েছে। আমাদের কাছেও এমন কিছু অবিশ্বাস্য তুরুপের তাস আছে। কিন্তু আমি সেগুলো কখনোই খেলতে চাই না। কারণ, সেগুলো খেললে চিন ধ্বংস হয়ে যাবে।"
উল্লেখ্য, বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে সংঘাত তীব্র হওয়ার জেরে পণ্য রপ্তানি বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে আমেরিকার পক্ষ থেকে ৩০% এবং চিনের পক্ষ থেকে ১০% শুল্ক সংশোধন করা হয়েছে। তবে চিন যদি তাদের দর কষাকষি বন্ধ না করে, তাহলে আবার শুল্ক বাড়ানো হবে বলেও হুমকি দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চিন যদি আমেরিকাকে গুরুত্ব না দেয়, তাহলে ২০০% শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। চিন চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং বিরল খনি রপ্তানির লাইসেন্স অনুমোদনের ক্ষেত্রে দেরি করিয়ে দিয়েছে বলে আগেই আমেরিকা অভিযোগ তুলেছিল।
অটোমোটিভ, ইলেকট্রনিক্স এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে ব্যবহৃত চুম্বক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিরল মৃত্তিকা ধাতুর (Rare earth) উৎপাদনে চিন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।