তারা আমাদের পরিবারের একজন হয়ে ওঠে। তারা বিপদে আপদে পাশে থাকে। প্রাণের চেয়েও প্রিয় হয়ে ওঠে বাড়ির পোষা সারমেয়রা। কিন্তু সারমেয়র হাতে প্রাণ গিয়েছে মালিকের, এমন ঘটনা বিরল তো বটেই অবিশ্বাস্যও।
পোষ্য মানেই ভালোবাসার নিঃস্বার্থ বন্ধন। সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষে শেষ হয়ে যায় যখন বাড়ি পৌঁছলেই ঘরের সেই প্রানীটির দিকে তাকিয়ে থাকেন। বাড়ির পোষ্যের কথা মনে পড়লেই দেখবেন ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে ওঠে।
210
অনেকেই নিজেদের ভাললাগা বা শখ অনুযায়ী পোষ্য রাখেন। মালিকের যে কোনও খারাপ সময়ে প্রাণ দিয়ে আগলায় বাড়ির প্রিয় পোষ্য। এমন ঘটনা হামেশাই নজরে আসে আমাদের।
310
কিন্তু সারমেয়র হাতে প্রাণ গিয়েছে মালিকের, এমন ঘটনা বিরল তো বটেই অবিশ্বাস্যও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে এমনই ঘটনা। সেখানে প্রিয় পোষ্যের হাতে প্রাণ গিয়েছে মালিকের।
410
কিন্তু কেন এমন উলটপুরাণ! কি ঘটেছিল সেদিন। কেন এরকম ভাবে সারমেয় কাড়ল মালিকের প্রাণ, এবার বলব সেই ঘটনাই, যা বেশ আতঙ্ক তৈরি করেছে নেট দুনিয়ায়।
510
আমেরিকায় শিকার করতে যাওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘটেছে এই ঘটনা। পোষা কুকুরটি তার নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি চালালে মালিক সেখানেই পড়ে যায়। খবরে বলা হয়েছে, কুকুরটি ভুলবশত গাড়িতে রাখা রাইফেলের উপর পা রেখে গুলি চালায়।
610
ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় জরুরি মেডিকেল টিম। সিপিআর দিয়ে আহত ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার সময় কুকুর ও বন্দুকটি পেছনের সিটে ছিল। সেই সময়ে ওই ব্যক্তি গাড়ির ড্রাইভিং সিটের পাশের সিটে ছিলেন।
710
সংবাদ সংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় এই ব্যক্তি তার গাড়িতে কুকুর নিয়ে শিকারে গিয়েছিলেন। কুকুর ও বন্দুক দুটোই পিকআপ ট্রাকের পেছনে ছিল। হঠাৎ ভুল করে কুকুরের পা রাইফেলের উপর পড়ে এবং গুলি চলে।
810
পুলিশ জানিয়েছে যে দুর্ঘটনাটি ভিচিয়া থেকে প্রায় ৪৫ মাইল দূরে ঘটেছে। আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান। পুলিশ বলেছে যে দুর্ঘটনার সময় যে ব্যক্তি গাড়িটি চালাচ্ছিল তার কোনো ক্ষতি হয়নি এবং তিনি সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছেন।
910
একজন পুলিশ আধিকারিক জানান, পেছনে রাখা রাইফেল থেকে গুলি ছোড়া হলে সেটি সিট ছিঁড়ে তাতে বসা ব্যক্তিকে আঘাত করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
1010
জেনে রাখা ভালো আমেরিকায় বন্দুকের অত্যন্ত সহজলভ্যতার কারণে, এই ধরনের ঘটনা এবং দুর্ঘটনাজনিত গুলি চালানোর ঘটনাও সাধারণ হয়ে উঠেছে। ২০২১ সালে, দুর্ঘটনাক্রমে গুলি চালানোর কারণে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।