এই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার চিনা সমকক্ষ শির সঙ্গে বহু বৈশ্বিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। এই নেতাদের দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত আলোচনার দিকে ভারতসহ গোটা বিশ্বের চোখ স্থির ছিল।
আমেরিকা ও চিনের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই তিক্ত। দুই দেশের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ও দূরত্ব কমানোর লক্ষ্যে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বছর প্রথমবারের মতো সান ফ্রান্সিসকোতে মিলিত হন। এ সময় উভয় রাষ্ট্রপ্রধান পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ানো থেকে শুরু করে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তাইওয়ানের উত্তেজনা বিষয়ে আলোচনা করেন। তাই এই বৈঠক তাইওয়ানের জন্য ঝুঁকির বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার চিনা সমকক্ষ শির সঙ্গে বহু বৈশ্বিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। এই নেতাদের দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত আলোচনার দিকে ভারতসহ গোটা বিশ্বের চোখ স্থির ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগ থেকে বিভিন্ন অর্থ বের করেছে। বৈশ্বিক উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তির স্থিতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠক বিশেষ বিবেচিত হয়েছে।
তাইওয়ান ইস্যুতে এই শক্তিশালী নেতাদের মধ্যে আলোচনাকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে। শি জিনপিং তাইওয়ান ইস্যুকে মার্কিন-চিন সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে চিন। শি জিনপিং তাইওয়ানের সাথে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনকে সমর্থন করেছিলেন কিন্তু তাইওয়ানের উপর শক্তি প্রয়োগকে অস্বীকার করেননি। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আঞ্চলিক শান্তিতে আমেরিকার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়েছেন।
জানুয়ারিতে তাইওয়ানে নির্বাচন হওয়ার কথা
এদিকে আমেরিকা এই দ্বীপের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান জানাতে চিনের ওপর পূর্ণ চাপ বজায় রাখছে। আসলে, আগামী জানুয়ারি মাসে তাইওয়ানে নির্বাচন হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে তাইওয়ানের কাছে চিনা সেনাবাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। তাই আপতত তাইওয়ানের ওপর হামলার তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নেই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।