অনেকেরই ছোটবেলা থেকেই পরীক্ষা ভীতি রয়েছে। পরীক্ষা আসছে, এই ভয়েই অনেকে সব কিছু ভূলে যান। কখনও আবার সব কিছু পড়ে যাওয়ার পরও উত্তীর্ণ হতে পারেন না জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলিতে। যার ফল সারা জীবন ভোগ করতে হয়। মিউজিক থেরাপি, সুইমিং, মেডিটেশনও অনেকসময় কাজ হয় না। ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষাভীতি বেরিয়ে আসতে পারেন না। তাই পরীক্ষার চাপ কাটাতে এক অভিনব পদ্ধতি চালু করা হয়েছে নেদারল্যান্ডসের নিজমেগনে অবস্থিত রেডবাউড বিশ্ববিদ্যালয়। যে সকল ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষার চাপে মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত, তাদের জ্যান্ত কবর দেওয়া শুরু করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন, তিন মিনিটও টিঁকল না দাম্পত্য, বিয়ের পরেই স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন নববধূ
তবে ভয়ের কোনও ব্য়াপার নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের অনুমতি নিয়েই এই অভিনব উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে। মাত্র আধ ঘণ্টার জন্য পড়ুয়াদের জ্যান্ত কবর দেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ যদি চায় সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩ ঘণ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, এই পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের মনোযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে স্নায়ুগুলি শিথিল হয়ে ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে মানসিক চাপ। আসলে এটি একটি মেডিটেশন বা ধ্যানের বিশেষ পদ্ধতি। কবর দেওয়া অবস্থায়, মাটির নিচে পূর্ণ নিস্তব্ধতায় মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এর ফলে তাদের মনোসংযোগ স্থাপনে সাহায্য করছে। একই সঙ্গে স্নায়ুগুলি ক্রমে শিথিল হয়ে ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে মানসিক চাপ।
জানা গিয়েছে, এই নতুন পদ্ধতিতে রেডবাউড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা রীতিমত উপকার পাচ্ছেন। জীবন্ত সমাধিস্থ হতে এখন থেকে নেদারল্যান্ডসে, আসন সংরক্ষণের জন্য আগাম বুকিং করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। পুরো পদ্ধতিটাই চলছে অনলাইনে। ৩০ মিনিট থেকে সর্বাধিক ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত কবর বুক করা যাচ্ছে অনলাইনে।