কোনও প্রতিষেধকই পারবে না করোনা মহামারি রুখতে, আশঙ্কা জাগিয়ে বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান

  • করোনার সঙ্গে লড়াই আশঙ্কার কথা 
  • আশঙ্কার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 
  • কোনও প্রতিষেধকই যথেষ্ট নয় মহামারি রুখতে 
  • তবে প্রতিষেধক এল সুবিধে পাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা 

Asianet News Bangla | Published : Nov 16, 2020 1:18 PM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে যখন একের পর এক প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজ প্রায় শেষের দিকে তখন আবারও আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেড্রস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়াসুস।  সোমবার তিনি বলেন কোনও প্রতিষেধকই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পারবে না । তিনি বলেন মহামারির বন্ধ করার জন্য কোনও প্রতিষেধকই যথেষ্ট নয়। গতবছর শেষের দিক থেকে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনার জীবাণু। এখনও পর্যন্ত বিশ্বে ৫৪ মিলিয়ন মানুষে এই ভয়ঙ্কর ছোঁয়াছে রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ গেছে ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, একটি প্রতিষেধক বা টিকা নিজে থেকে কখনই মহামারিটি আটকে দিতে সক্ষম হবে না। প্রতিষেধকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম হিসেবে কাজ করবে। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার বাকি অস্ত্রগুলির পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু সেটি কখনই প্রতিস্থাপক হিসেবে কাজ করবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও বলেন প্রতিষেধকটি এলে মহামারির প্রভাবে মৃত্যুর হার কমানো যাবে। প্রথম দফায় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, স্বাস্থ্য কর্মীর চিকিৎসক, বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণদের মধ্যে প্রথমে প্রতিষেধক বিলিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাতে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবাও মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে বলেও জানিয়েছেন। 

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রোড্রস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন। এটি এমনই একটি জীবাণু যা এখনও এক স্থান থেকে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর সেই কারণেই নজরদারী চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন এখনও মানুষকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। আক্রান্ত হলে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হবে। পাশাপাশি আক্রান্তদের সংস্পর্ষে আসা মানুষদের খুঁজে বার করে তাদের বিচ্ছিন্ন করার যে প্রক্রিয়া এখন চলছে তা আগামী দিনে অব্যাহত রাখতে হবে। তবেই করোনা মহামারিকে পরাজিত করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান যখন এই কথা বলছেন তখন বিশ্বে দৈনিক করোনা অক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ লক্ষেরেও বেশি। 

Share this article
click me!