মৃত্যু গহ্বর বললে খুব একটা ভুল হবে না। শনিরবার মিশর কায়রো সংলগ্ন একটি একটা থেকে ১০০টিরও বেশি কফিন বন্দি মমি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের কথায় এক লহমায় তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে প্রাচিন মিশরের। যখন সেখানে ফ্যারাওদের রাজ চলত। কারণ প্রতিটি কফিনেই লুকিয়ে রয়েছে হাজার হাজার বছরের পুরনো অতীক। আর ইতিহাস। উদ্ধার হওয়া কফিনগুলি তৈরি করা হয়েছিল কাঠ দিয়ে। কফিনগুলিতে এখনও প্রাচিন মিশরীয় ভাষ্কর্যের নিদর্শন স্পষ্ট।
ইজিপ্টে কী ছিল?
একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিঁ কায়রোর দক্ষিণে সাক্কার নেক্রপোলিস এলাকায় একটি জায়গায় সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তিনটি কবরের। আর সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে সিলকরা কাঠের কফিন। প্রাথমিকভাবে ইতিহাসবীদরা মনে করছেন এই কফিনবন্দি দেহগুলি মিশর সভ্যতার শেষ পর্যায়ের। এগুলি টলোমাইক যুগের বলেও দাবি করেছেন এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা।
কফিনে কী রাখা ছিল?
প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি কফিন পাওয়া গেছে। সেগুলি সবকটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি কফিনই খোলা হয়েছে। সেই কফিন থেকে পাওয়া গেছে একটি মমি। গায়ারোগ্ল্যাফিক ছবি দিয়ে সাজানো অধিকাংশ কফিন। এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকেরর কথায় মৃতদেহগুলি সাক্কারারা। সাক্কারা হল প্রাচিন মিশরের রাজধানী মেমফিসের সমাধিস্থান। ইউনেস্কোর একটি অন্যতম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
মাসখানেক আগেই এই এলাকা থেকে এই অঞ্চল থেকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রায় আড়াই হাজার বছর আগেই ৫৯টি সিল করা কাঠের কফিন উদ্ধার করেছিলেন। যেগুলির মধ্যে ছিল মমি। সাক্কারা নিয়ে এখনও রয়েছে অনেক রহস্য। যা আজও সামনে আসেনি। মিশরের পর্যটন মন্ত্রী তথা প্রত্নতাত্ত্বিক খালেদ আল আন্নি বলেন এখানে এখনও এখনও লুকিয়ে রয়েছে অনেক প্রাচিন নিদর্শন।
আর কী উদ্ধার হয়েছে?
শতাধিক কাঠের কফিনবন্দি মমি ছাড়াও আরও বেশি কিছু পুরাতাত্ত্বিক নির্দেশন উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারি শীর্ষ কর্তাদের কথায় উদ্ধার হয়েছে ৪০টি প্রাচিন দেবদেবীর মূর্তি। বেশ কয়েকটটি মুখোশ। সেগুলি মিশরের যাদু ঘরের রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি প্রাচিন নিদর্শন স্থান পেয়েছে গিজা মালভূমির গ্র্যান্ড মিশরীয় যাদু ঘরে। করোনাভাইরাসের কারণে মিশরের পর্যটন যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন নতুন ভাবে পাওয়া পুরনো এই নিদর্শনগুলির টানে অনেকেই আবার ফিরে আসবেন যাদুঘরগুলিতে।