আগামী শীতকালে কেটে যাবে মহামারির মেঘ, দাবি করেছেন করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারকের

  • আগামী শীতকালের মধ্যে স্বাভাভিক হবে বিশ্ব 
  • রুখে দেওয়া যাবে করোনার সংক্রমণ
  • দাবি করছেন অধ্যাপক উগুর সাহিন 
  • পরীক্ষা চলছে তাঁদের তৈরি প্রতিষেধকের 
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 16, 2020 11:41 AM IST


আগামী বছর শীতকালেই বিশ্বের মানুষ সাধারণ জীবন ফিরে পাবে। আগামী বছর মধ্যবর্তী সময় অর্থাৎ গ্রীষ্ণকাল থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করবে করোনাভাইরাসের প্রভাব। এমনই আশার বানী শোনালেন প্রতিষেধক নির্মাতা তথা অধ্যাপত উগুর সাহিন। তিনি বায়োএনটেকের সহ প্রতিষ্ঠাতা। তার সংস্থার সঙ্গেই ফাইজার জোটবেঁধে আবাষ্কার করেছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক। 

বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অধ্যাপক উগুর সাহিন আশা প্রকাশ করেছেন যে তাঁদের তৈরি প্রতিষেধক করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন তাঁদের তৈরি প্রতিষেধকের প্রভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে যাবে। গত সপ্তাহতেই বায়োএনটেক ও সহযোগী ফাইজারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল তাদের তৈরি প্রতিষেধকটি অত্যান্ত কার্যকর। এই করোনা মোকাবিলায় ৯০ শতাংশ মানুষকে সাহায্য করবে। অধ্যাপক সাহিন একটি অনুষ্ঠানে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন তাঁদের তৈরি প্রতিষেধক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হ্রাস করতে কতটা সক্ষম। পাশাপাশি তিনি বিশ্লেষণ করে বলেছেন তাঁদের তৈরি প্রতিষেধক প্রয়োগ করার পর আক্রান্তের লক্ষণের বিকাশও বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন ৯০ শতাংশ না হলেই তাঁদের তৈরি প্রতিষেধ যে এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কার্যকর তা মেনে নিতে হবে। 


চলতি বছর শেষের দিকে ফাইজার ও বায়োএনটের তৈরি প্রতিষেধকের ১০ মিলিয়ন ডোস হাতে পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে ব্রিটেন। আর সেই কারণেই মহামারি প্রতিরোধ করতে আরও ৩০ মিলিয়ন ডোসের অর্ডারও ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের ৬টি দেশে ফাইজারের প্রতিষেধক পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশ্বের অধিকাংশ সংস্থাই দাবি করছে মহামারি রুখতে চলতি বছর শেষ অথবা আগামী বছর গোড়ার দিকে করোনার প্রতিষেধক সরবরাহ করা শুরু হবে। আগামী বছর এপ্রিলের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডোস সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উগুর। তিনি আরও বলেন আগামী বছর গ্রীষ্ণকাল  অত্যান্ত সহায়ক হবে। কারণ এই সময়ই সংক্রমণের হার অনেকটাই কম থাকে। আগামী বছর শীতের আগেই যদি করোনার টিকা হাতে পাওয়া যায় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আগামী বছর শীতের মধ্যেই আধিকাংশ মানুষকে যদি টিকা দান করা হয় তাহলে রুখে দেওয়া যাবে সংক্রমণ। তবে আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন দুটি পর্যায়ে টিকা প্রদান করা হবে। তবে দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়ার পরে তার অ্যান্টিবডি কতক্ষণ কাজ করতে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। 


 

Share this article
click me!