কিমের উত্তরসুরী কাকা না বোন, চার দশক পর কোরিয়ান রাজনীতিতে জল্পনা পিয়ং ইলকে নিয়ে


কিমের উত্তরসুরী নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
উঠে আসছে বোন আর কাকার নাম
কাকা কিম পিয়ং ইন বর্তমানে রয়েছেন উত্তর কোরিয়া

Asianet News Bangla | Published : Apr 29, 2020 8:27 AM IST

এখনও সংকটে কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার প্রাধানের স্বাস্থ্য নিয়ে রীতিমত মুখে কুলুপ এঁটেছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম। কিন্তু এই অবস্থায় একের পর এক নাম উঠে আসছে কিমের উত্তরসুরী নিয়ে। প্রথম থেকেই জল্পনায় ছিল কিমের বোন কিম ইয়ো জং-এর নাম। দ্বিতীয় নাম হিসেবে উঠে এসেছে কিমের কাকা কিম পিয়ং ইলের নাম। শুধু নাম উঠে আসাই নয় দীর্ঘ প্রায় চার দশক পর তিনি উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিতেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন বলেই সূত্রের খবর। কারণ উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্ব কোনও মহিলাকে মেনে নেবে কিনা তা নিয়ে রীতিমত সংশয় রয়েছে। সেই কারণেই উত্তর কোরিয়ার নেতারা হয়তো কিমের কাকার ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি করবে না। আরও একটি কারণ রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং-এর রক্ত রয়েছে তাঁর শরীরে। 

৬৫ বছরের কিম পিয়ং ইল বিনয়ী শিক্ষিত হিসেবেই পরিচিত। সৎভাইয়ের অর্থাৎ কিম জং-উনের বাবা কিম জং ইলের কাছে রাজনীতির ময়দানে হেরে গিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। সৎভাইয়ের শাসনকালে ১৯৯৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ডসহ একাধিক দেশের রাজনৈতিক আশ্রয়ে কেটেছে তাঁর দিন। গত বছরই চেক রিপাব্লিক থেকে তিনি দেশে ফিরেছেন তবে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম তাঁকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ।

সূত্রের খবর দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তাঁর কিছুটা হলেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রের এক মন্ত্রীও সেই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অনেক দিন আগে। তাঁর কথায় কিম পিয়ং ইলের হাবভাব এমন যেন তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছেন। কিম জংও কয়েক বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছিলেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে  একাধিক বৈঠকও করেছিলেন। কিন্তু কিমের স্বাস্থ্য থেকে কিম পিয়ং ইল - কোনও বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন।  

আরও পড়ুনঃ হাইড্রোক্লোক্সিসকুইনিন নিয়ে কি এখনও গোঁসা ট্রাম্পের, মোদীকে আনফলো করল হোয়াইট হাউস ...

আরও পড়ুনঃ সেম্পেম্বর মাস থেকেই তৈরি হবে করোনার প্রতিষেধক, জল্পনা দানা বাঁধছে বিল গেটসের মন্তব্যে ...

যারাই ক্ষমতার কাছাকাছি আসতে চেয়েছিল তাদেরই উত্তর কোরিয়ার শাসকরা অন্যদেশে নির্বাচনে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন পিয়ং ইল। কিন্তু গতবছরই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন কিম। কাকার গতিবিধির ওপর পর্যাপ্ত নজর রাখতেই এই কাজ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। তবে পিয়ং ইল নির্বাসনে যাওয়ার আগে দেহরক্ষী ইউনিটের অধিনায়ক ছিলেন। পাশাপাশি ক্ষমতাসীল ওয়ার্কাস পার্টিরও সদস্য ছিলেন। সুতরাং বলা যেতেই পারেই রাষ্ট্র পরিচালনায় এমন কিছু অদক্ষ নন কিমের কাকা। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী কিমের বোনও বেশ কয়েক বছর দাদার ছত্রছায়ায় থেকে রাজকার্য বুঝে নিচ্ছিলেন। 

Share this article
click me!