৩৭ দিনের মধ্যে একই মহিলাকে ৪বার বিয়ে ৩বার বিচ্ছেদ, অবাক করলেন ব্যাঙ্কের কেরানি

পাত্রীর বদল ঘটেনি

তবে ৩৭ দিনের মধ্যে তাঁকেই ৪ বার বিয়ে করেছেন

আর তার মাঝে ৩ বার বিচ্ছেদ

কেন এমন করলেন তাইওয়ানের ব্যাঙ্ক কেরানি

 

Asianet News Bangla | Published : Apr 15, 2021 6:08 PM IST / Updated: Apr 16 2021, 02:29 PM IST

একই মহিলাকে চারবার বিয়ে করলেন আর তিনবার বিবাহ বিচ্ছেদ। তাও আবার মাত্র ৩৭ দিনের মধ্যে।

চমকে দিলেন তাইওয়ানের এক ব্যক্তি। বিস্ময়কর কাজ, সন্দেহ নেই। তবে এর নেপথ্যের কারণটি আরোই

চমকে দেওয়ার মতো। ওই ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, তিনি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই শহরের এক ব্যাঙ্কের ক্লার্ক। আর তাঁর এই চারবার বিবাহ আর তিনবার বিচ্ছেদের ফলে, ব্যাঙ্কের ঘর থেকে তিনি বেশ কিছু অর্থও কামিয়ে নিয়েছেন।


জানা গিয়েছে ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল, ওই ব্যাঙ্কের কেরানি বিবাহ করেছিলেন। বিয়ের জন্য তাঁকে ৮ দিনের সবেতন ছুটি মঞ্জুর করেছিল ব্যাঙ্ক। অথচ, বিবাহ, মধুচন্দ্রিমা মিলিয়ে কেরানিটির ছুটি দরকার ছিল প্রায় একমাসের। এরপরই, তাঁর হবু স্ত্রীকে চারবার বিবাহ ও তিনবার বিবাহ বিচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করেন তিনি। যা ভাবা তাই কাজ। প্রথমবার বিবাহের আটদিনের ছুটি শেষ হতেই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করেছিলেনতিনি। তারপর দিনই অবশ্য বিচ্ছেদ হওয়া স্ত্রীকেই ফের বিয়ে করেন। এইভাবে ৪বার ঘটে। আর প্রত্যেকবারই ৮দিনের সবেতন ছুটির আবেদন করেন তিনি।

সমস্যা হল, তাঁর এই চালাকি ধরে ফেলে ব্যাঙ্কের মালিক পক্ষ। আর আটদিনের পর তাঁর অতিরিক্ত ছুটির আবেদনগুলি খারিজ করে দিয়েছিল। ফলে ৩২ দিনের ছুটি কাটিয়ে এসে মাত্র ৮ দিনের বেতন পেয়েছিলেন তিনি। তাতেও দমেননি ওই ব্যাঙ্ক কেরানি। তাইপেই সিটির লেবার ব্যুরো-তে গিয়ে তিনি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি সাফ জানান, তাইওয়ানের শ্রম আইন অনুসারে, কোনও কর্মচারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর আট দিনের সবেতন ছুটির পেতে পরে। তাই চারবার বিবাহের জন্য আইন মেনে তাঁর ৩২ দিনের ছুটি পাওয়া উচিত।

গত অক্টোবরে, তাইপেই সিটি লেবার ব্যুরো তদন্ত করে এই মামলার রায় দিয়েছে। তাতে কিনতু, জয় জয়কার হয়েছে ওই কেরানির।  লেবার ব্যুরো সাফ জানায়, এই ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা অর্থাৎ ব্যাঙ্ক শ্রম আইন লঙ্ঘন

করেছে। এর জন্য ব্যাঙ্ককে ভারততীয় মুদ্রায় ৫২,৮০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তারা পাল্টা জানিয়েছিল, তাদের ওই কর্মচারীর শ্রম আইনে বিবাহের ছুটির যে ধারা রয়েছে, সেই ধারার অপব্যবহার করছে। অবৈধভাবে অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাই, এই রায় তারা মানছে না।

তবে সম্প্রতি লেবার ব্যুরো তাদের আগের রায় পুনর্বিবেচনার পর সেই রায়ই বহাল রেখেছে। তবে বাড়তি সংযোজন হিসাবে স্বীকার করা হয়েছে যে, ওই কেরানীর আচরণ অনৈতিক ছিল। তবে, তারপরও তিনি কোনও আইন লঙ্ঘন করেননি বলেই জানিয়েছে ব্যুরো। কিন্তু,  ব্যাঙ্ক শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছে, এটা নিশ্চিত। তাই জরিমানা দিতেই হবে।  

 

Share this article
click me!