লাদাখ থেকে ভারত ও চিনের সেনা প্রত্যাহার চলছে
পাকিস্তানের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে
কিন্তু, এই অগ্রগতিতে হিংসা থামার বিশেষ সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে মার্কিন গোয়েন্দারা
কী বলা হল তাদের বার্ষিক মূল্যায়নে
লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে ভারত ও চিন দুই পক্ষই। পাকিস্তানও সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি বিষয়ে সম্মত হয়েছে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের কথা চলছে। এই ধরণের অগ্রগতিতে, দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই ভারতের উত্তেজনা কমছে বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু, এই ধারণাটার সঙ্গে একমত নয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। মঙ্গলবার তারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন হুমকির বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে,
ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা 'উচ্চমাত্রায়'। আর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ না হলেও, তাদের মধ্যে সংকট 'আরও তীব্রতর হবে'।
মার্কিন রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানের দিক থেকে প্রকৃতপক্ষেই উস্কানি দেওয়া হোক, কিংবা উস্কানি বলে অনুভব করলেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারত আগের তুলনায় সামরিক জবাব দিতে বেশি আগ্রহী। এর ফলে বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সামরিক দ্বন্দ্বের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। কাশ্মীরে কোনও হিংসাত্মক অশান্তি বা ভারতে কোনও জঙ্গি হামলা থেকেই দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে বলিয়ান হওয়ায় এই ক্ষেত্রে বিপদ বেশি।
রাশিয়া "বিশ্বব্যাপী যেখানে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে পশ্চাৎপদ চাপছে, কৌশল প্রয়োগ এবং শক্তি প্রয়োগ সহ কৌশল প্রয়োগ করতে পারে"; ইরানকে "আঞ্চলিক বিপদ" হিসাবে বিস্তৃত করা হয়েছে বিস্তৃত ম্যালিন প্রভাবের ক্রিয়াকলাপ সহ; এবং উত্তর কোরিয়া "আঞ্চলিক এবং বিশ্ব পর্যায়ের খেলোয়াড় খেলোয়াড়" হিসাবে।
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, চিন এখন আমেরিকার 'নিকটতম সমকক্ষ প্রতিযোগী' হয়ে উঠতে চাইছে। আমেরিকাকে একাধিক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তারা। আর এই বর্ধিত শক্তি প্রদর্শনের জন্য সরকারের সব ব্যবস্থাকে ব্যবহার করতে চাইছে বেজিং। আগামী দিনে আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের উপর তারা আরও চাপ বাড়াবে বলেই জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। ভারত-চিন সীমান্তে আপাতত উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেলেও আগামী দিনে ফের সংঘর্ষে জড়াতে পারে ভারত-চিন।
ভারতের প্রতিবেশী অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে মার্কিন গোয়েন্দারা সবথেকে বেশি উদ্বীগ্ন মায়ানমারকে নিয়ে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেই দেশে সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে। আর আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকা জানিয়েছে, আগামী বছরেও শান্তি-চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম।