ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া, তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে কী কারণে ইউক্রেন হামলা করছেন, সমস্যা কোথায় পুতিনের, চলুন তার অন্যতম কারণগুলি জেনে নেওয়া যাক।
ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। ভারতীয় সময় সকাল ৮ নাগাদ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (President Vladimir Putin)। তিনি ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র ছাড়ার কথাও বলেন। এদিকে একইসময়ে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার বৈঠক চলছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে কী কারণে ইউক্রেন (Ukraine) হামলা করছেন, সমস্যা কোথায় পুতিনের, চলুন তার অন্যতম কারণগুলি জেনে নেওয়া যাক।
দেড়লাখের উপরে সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া
প্রসঙ্গত গত কয়েকমাস ধরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার যে অভিযোগ উঠে এসেছিল, তা তিনি নাকচ করে দেন। কিন্তু এখন শান্তি চুক্তি নস্যাৎ করেই ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রত দুইটি এলাকায় সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। যাকে তিনি বলেছেন, শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত সৈন্য। গত কয়েকমাসে ইউক্রেনের সীমান্ত জুড়ে দেড়লাখের উপরে সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে ইউক্রেনে কেন সৈন্য পাঠাল রাশিয়া।
ইউক্রেনে কেন সৈন্য পাঠাল রাশিয়া ?
২০১৪ সালে যখন প্রথমবার রাশিয়া প্রথমবার ইউক্রেনে প্রবেশ করে, তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ বড় একটি এলাকার নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। এরপরেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে। যুদ্ধবন্ধে একটি আন্তর্জাতিক মিনস্ক শান্তি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু তাতে লড়াই থামেনি। আর এই কারণেই রাশিয়ার নেতা বলেছেন, ওই অঞ্চলে তিনি তথাকথিত শান্তিরক্ষী পাঠাচ্ছেন। এবার প্রশ্নটা হচ্ছে ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের প্রধান সমস্যাটা কোথায় রয়েছে।
ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের সমস্যাটা কোথায় ?
ইউক্রেন যে নেটো এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগ দিতে চায়, অনেকদিন ধরেই সেই বিষয়েই আপত্তি জানিয়ে আসছে রাশিয়া। এখন পুতিন দাবি করেছেন, ইউক্রেন পশ্চিমের দেশগুলির হাতের পুতুল। কখনই প্রকৃত রাষ্ট্র ছিল না। তার মূল দাবী হল পশ্চিমের দেশগুলিকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, ইউক্রেন নেটোতে যোগ দেবে না। উল্লেখ্য নেটো হচ্ছে পশ্চিমের দেশগুলির একটি সামরিক জোট। যেখানে ৩০ টি দেশ রয়েছে। তবে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি দেশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের গভীর সামাজিক এবং সাংষ্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে রুশ ভাষাও ব্যপকভাবেই প্রচলিত ছিল। তবে ২০১৪ সালে রাশিয়ার আক্রমণের পরে সেই সম্পর্কটা অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে। যখন ২০১৪ সালে রাশিয়াপন্ত্রী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, সেই সময়ে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। সেই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত ১৪ হাজার সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে।