প্রবল ভূমিকম্প তুরস্কে। তাসের ঘরের মত একের পর এক ভেঙে পড়েছে বাড়ি। দেখুন তারই ভাইরাল ভিডিও।
মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরপর তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। বিপর্যস্ত সিরিয়া আর তুরস্ক। এখনও পর্যন্ত ২৩০০ জনেরও বেশি মানুষের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যা নাড়িয়ে দিয়েছিল গ্রিনল্যান্ডের মাটিও। সাইপ্রাস আল লেবাননও কেঁপে উঠেছে। পরপর তিনটি ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুটি দেশেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় বহু মানুষই আটকে রয়েছে ধ্বংসস্তূপের নিচে। বিজ্ঞানীদের মত গত ১০০ বছরের মধ্যে এটাই সবথেকে মারাত্মত ভূমিকম্প।
প্রকৃতির রুদ্ররূপে বিধ্বস্ত তুরস্ক আর সিরিয়া। এই অবস্থায় বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রবল কম্পনের কারণে বড় বড় বাড়ি তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে। সেরকমই একট্ ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে তুরস্কের সানলি উরফা প্রদেশে। যেখানে একটা আফটার শকের মধ্যেই একটি বহুতল হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সানলিউরফায় ১৬টি আর ওসমানিয়েতে ৩৮ টি বাড়ি ভেঙে গেছে। আপনিও দেখুন সেই ভিডিওঃ
বাড়িগুলির মধ্যে কেউ আটকে রয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে বর্তমানে তুরস্ক আর সিরিয়া দুটি দেশেই বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। অন্ধকারের মধ্যেই ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। জীবিতদের খোঁজার চেষ্টাও করছে উদ্ধারকারী দল।
তুরস্কের কাহরামনমারাস শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন তুরস্ক ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। তাই তারা কম্পনে অভ্যস্ত। কিন্তু এদিন কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল অধিকাংশ মানুষই আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল। স্থানীয়দের চোখেমুখে ফুটে উঠেছিল আতঙ্কের কালো ছায়া।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে, তুরস্কের গাজিয়ামটেপ শহরের কাছে প্রায় ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। স্থানীয় সময় ভোর ৪টে ১৭ মিনিটের ভূমিকম্প হয়। এই এলাকায় প্রায় ২ মিলিয়ম মানুষের বাস। তুরস্কের জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল প্রায় ৭.৪। ঘটনা পরে প্রায় ৪০টি আফটার শক হয়। ভূমিকম্পটির বিস্তৃতি ছিল কায়রো পর্যন্ত । তাছাড়া সাইপ্রাস দ্বীপও কেঁপে উঠেছিল ভূমিকম্পের কারণে। তুরস্ক সরকারের হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১০০ ভবন তারা গুনতে পেরেছে যেগুলি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। সেখানে প্রাণের অস্তত্ত্ব নেই বলেও মনে করছে। তুরস্ক ও সিয়ারার ভূমিকম্প নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীষ ভারত থেকে উদ্ধারকারী দল ও প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পাঠান হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাঠান হচ্ছে দুটি স্পিফার ডগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকারও প্রয়োজনীয় সাহায্য পাঠাবে বলে জানিয়েছেন।