প্যালেস্টাইনের ইরেজে সন্ধান পাওয়া গেছে এই টানেলের। অত্যাধুনিক এই টানেল কিন্তু খুব সরু।
হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক নিয়ে একাধিক দাবি করেছিল ইজরায়েল সেনা। এতদিন ছোট্ট ছোট্ট কতগুলি ভিডিও পোস্ট করেছিল। তবে এবার ইজায়েলের সেনার দাবি তারা সবথেকে বড় হামাসের টানেল নেওটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে। সেটার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ কিলোমিটার। গাজা উপত্যকায় রয়েছে এই টানেল। ইজরায়েল সেনার পোস্ট করা ভিডিও দেখলে আপনার অবশ্যই কাকাবাবুর 'ইয়েতি অভিযান'এর কথা। সেখানে হিমালয়ের এভারেস্ট সংলগ্ন একটি একালায় মাটির তলায় তৈরি করা হয়েছিল গোপন গবেষণাকেন্দ্র। লেখকের বর্ণনার সঙ্গে অনেকটাই মিল পাওয়া গেল ইজায়েল সেনার পোস্ট করা ভিডিও।
প্যালেস্টাইনের ইরেজে সন্ধান পাওয়া গেছে এই টানেলের। অত্যাধুনিক এই টানেল কিন্তু খুব সরু। তবে ট্রলি জাতীয় গাড়ি চলার জন্য ট্র্যাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে হামাসদের যাতায়াত ও মালপত্র বহনের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
গাজার এই টানেলের একাধিক শাখা প্রশাখা রয়েছে। চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল এই টানেল। ইরেজ সীমান্ত ক্রসিং থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে সন্ধান পাওয়া গেছে এই টানেলের।
ইজরায়েলের সেনার দাবি হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মহম্মদ ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর হামলার নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। এই টানেল নির্মাণে প্রায় কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। এটি কয়েক বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে। পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই টানেল। নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে। বিদ্যুৎ ও বায়ু চলাচল ব্যবস্থা দুর্দান্ত। যোগাযোগ নেটওয়ার্কে রেল চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেঝে কম্প্যাক্টড আর্থ। দেওয়াগুলি কংক্রিটের তৈরি , প্রবেশদ্বার ১য়৫ সেন্টিমিটার পুরু দেওয়াল দিয়ে তৈরি। ইজরায়েল সেনার দাবি টানেল থেকে প্রচুর অস্ত্রের সন্ধান তারা পেয়েছে।
সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেছেন, হামাস এই প্রকল্পে বিপুল সম্পদ ব্যয় করেছে এবং "শুধুমাত্র একটি উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য - ইসরায়েল রাষ্ট্র এবং এর বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ করা"। তিনি আরও বলেছেন, ইজরায়েলে যাতায়াতের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় টানেল তৈরি করা হয়েছিল।