বাসটিতে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি অনেক বিদেশি যাত্রীও ছিলেন। যাত্রীদের সম্পর্কিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর পুড়ে যাওয়া বাসের ধ্বংসঙ্গেবশেষ রাস্তার পাশেই রাখা হয়েছে।
সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মক্কা শহরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। হজযাত্রী ভর্তি বাসে ঘটে বড়সড় এই দুর্ঘটনা। যার ফলে বহু হজযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রথমে বাসটি সেতুতে ধাক্কা মারে এবং পরে রাস্তাতেই উল্টে যায়। বড়সড় এই সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে বাসটিতে আগুন ধরে যায় এবং ২০ জন পূণ্যার্থী জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ২৯ জনেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে ।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-এখবারিয়া টিভির সংবাদ অনুসারে পিটিআই জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ঘটে যাওয়া বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯ জন আহত হয়েছে। টিভিতে দুর্ঘটনার ছবিও শেয়ার করা হয়েছে, যাতে পোড়া বাসটি দেখা যায়। বাসের ব্রেক ফেইলিওরই ঘটনার কারণ বলে জানা গিয়েছে। বাসটি ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের সম্পর্কে তথ্য জানা যায়নি।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
রেড ক্রিসেন্ট টিমের সঙ্গে জরুরী পরিষেবাগুলিকে তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং আহত যাত্রীদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাসে থাকা আরও অনেক যাত্রীর অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। বাসের সব যাত্রীই হজে যাচ্ছিলেন। বাসটিতে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি অনেক বিদেশি যাত্রীও ছিলেন। যাত্রীদের সম্পর্কিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর পুড়ে যাওয়া বাসের ধ্বংসঙ্গেবশেষ রাস্তার পাশেই রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- আমেরিকায় ফের গুলি, স্কুলে হামলা চালিয়ে তিন শিশুকে মেরে ফেলল হামলাকারী
আরও পড়ুন- সাজা এড়াতে আইন বদলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী, প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল
আরও পড়ুন- পবিত্র রমজান মাসেও ছাড় নেই! বিকট শব্দে বিস্ফোরণ কাবুলে - রক্তাক্ত রাস্তায় ছড়িয়ে দেহাংশ
আগুন লাগার কারণ উদ্ধার করা কঠিন-
বাসটি সেতুতে ধাক্কা মারার পর পুরো বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। আগুনের কারণে যাত্রীদের উদ্ধার করাও কঠিন হয়ে পড়েছিল। ফায়ার ব্রিগেডের দল কোনও ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরে বাসে আটকে থাকা যাত্রী ও মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাসটিতে কোন দেশের যাত্রী ছিলেন সে তথ্যও এখনও সামনে আসেনি।