তালেবানরা গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে আফগানিস্তানে হামলা চালাত। এরপর তারা পুরো আফগানিস্তান দখল করেন। মানুষ আশা করেছিল আফগানিস্তানে এখন শান্তি আসবে। কিন্তু এখন আফগানিস্তান আবার সন্ত্রাসের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। কাবুলের ফরেন মিনিস্ট্রি রোডে দাউদজাই ট্রেড সেন্টারের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই বিস্ফোরণে দু'জন মারা গেছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিস্ফোরণটি ছিল প্রচণ্ড আকারের। বর্তমানে ঘটনার তদন্ত করছে তদন্তকারী সংস্থা। আহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন ও দূতাবাস রয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
তালেবানরা গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে আফগানিস্তানে হামলা চালাত। এরপর তারা পুরো আফগানিস্তান দখল করেন। মানুষ আশা করেছিল আফগানিস্তানে এখন শান্তি আসবে। কিন্তু এখন আফগানিস্তান আবার সন্ত্রাসের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার ফের শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই বিস্ফোরণে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয় এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তালেবানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিনজন যোদ্ধাও মারা গেছে।
আত্মঘাতী হামলার নতুন ঢেউ শুরু?
আফগানিস্তানের টোলো নিউজ জানিয়েছে, রাজধানী কাবুলে এই বড়সড় হামলা হয়েছে। এই হামলা ছিল আত্মঘাতী, যাতে হামলাকারী বিকট শব্দে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। হামলাকারী মালিক আজগর চকে পৌঁছে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে গিয়ে বোমা মেরে মানুষকে হত্যা করে। তালেবানের কাবুল শহরের পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ পর্যন্ত ৬ জন মারা গেছেন, অনেকে আহত হয়েছেন
টোলো নিউজকে প্রত্যক্ষদর্শীদের তরফে বলা হয়েছে, এই বিস্ফোরণটি খুব বড় ছিল। বিদেশ মন্ত্রকের কার্যালয়ের বাইরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণস্থল দাউদজাই ট্রেড সেন্টারের কাছে। ইমার্জেন্সি এনজিও নামের ওই সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন। এরই মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। এ ছাড়া এক স্কুল শিশুও গালাঁসের অন্তর্ভুক্ত। একই সঙ্গে এই হামলার দায় এখনো কেউ নেয়নি।