মিকম্পটি হেরাত শহর থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে ঘটেছে। এটি উল্লেখযোগ্য যে এই সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো কম্পন অনুভূত হয়েছে।
একই সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের মাটি। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬.৩। প্রথম ভূমিকম্পে ৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়ে ছিলেন। রবিবার সকালে পশ্চিম আফগানিস্তানে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৬.৩। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত কয়েক সপ্তাহে শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং পুরো গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থা জানিয়েছে যে ভূমিকম্পটি হেরাত শহর থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে ঘটেছে। এটি উল্লেখযোগ্য যে এই সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো কম্পন অনুভূত হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, শুক্রবার আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। সকাল ৬:৩৯ মিনিটে (আইএসটি), দেশের ৫০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়।
এর আগে ১১ অক্টোবর আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে। এর কারণে হেরাত প্রদেশে চার হাজার জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং হাজার হাজার বাড়ি মাটির তলায় চাপা পড়ে। শনিবার হেরাত ও আশেপাশের এলাকাগুলিও কেঁপে ওঠে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর শক্তিশালী আফটারশকে। পরপর বেশ কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়।
তালিবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছরে এটাই আফগানিস্তানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পে ২,০০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে আরও বেশি। ভূমিকম্পের ফলে আহত হয়েছেন ৯,০০০-এর বেশি মানুষ। ১,৩০০টিরও বেশি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক দেহ বের করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হেরাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলেও, বাদগিস, ফারাহতেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভূমিকম্পে অন্তত ৬০০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ি ভেঙে পড়ায় অনেকেই আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।