
Burj Khalifa: বার বার মাথায় বাজ পড়লেও বুর্জ খলিফার ক্ষতি হয় না কারণ এটি একটি বিশাল বজ্র নিরোধক (lightning conductor) হিসেবে কাজ করে। যেখানে এর ইস্পাতের কাঠামোটি একটি Faraday cage-এর মতো কাজ করে, যা বজ্রপাতের বিদ্যুৎকে ভবনের ভেতরে প্রবেশ না করিয়ে নিরাপদে মাটিতে নামিয়ে দেয়, ফলে ভেতরের মানুষ ও সিস্টেম সুরক্ষিত থাকে।
বজ্র নিরোধক সিস্টেম: বুর্জ খলিফার শীর্ষে একটি বিশেষ বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা (lightning arrester system) রয়েছে যা আশেপাশের বৈদ্যুতিক ঝড় শনাক্ত করে এবং বজ্রপাতকে আকর্ষণ করে।
Faraday Cage প্রভাব: ভবনের ইস্পাতের কাঠামোটি একটি Faraday cage-এর মতো কাজ করে। এটি বাইরের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রকে প্রতিহত করে এবং বিদ্যুৎকে ভবনের পৃষ্ঠের উপর দিয়ে নিরাপদে মাটিতে চালিত করে।
পরিবাহী পথ: এতে বিশেষ পরিবাহী পথ (conductive paths) ব্যবহার করা হয়, যা বজ্রপাতের বিশাল বিদ্যুৎকে সরাসরি মাটির গভীরে নিয়ে যায়, এতে ভেতরের কোনো ক্ষতি হয় না।
বিশেষ প্রযুক্তি: এতে Early Streamer Emission (ESE) টার্মিনালের মতো উন্নত প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণের চেয়ে আগে upward streamer নির্গত করে এবং বজ্রপাতকে দ্রুত আকর্ষণ করে।
বজ্রপাত কেন হয়?
আকাশে জলীয় বাষ্প ও ধূলিকণার কারণে মেঘের মধ্যে বৈদ্যুতিক চার্জের পার্থক্য তৈরি হয়। একসময় এই চার্জের ভারসাম্য নষ্ট হলে মেঘ থেকে ভূমি বা অন্য মেঘে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়, যা আমরা বজ্রপাত হিসেবে দেখি।
বুর্জ খলিফাকে কেন আঘাত করে?
যেহেতু এটি সবচেয়ে উঁচু কাঠামো, তাই মেঘের জমা হওয়া চার্জ সবচেয়ে কম দূরত্বে ও কম সময়ে ভূমির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চায়। এ কারণে বুর্জ খলিফার মতো উঁচু ভবনে বজ্রপাত বেশি হয়, তবে এর উন্নত প্রযুক্তির কারণে কোনো ক্ষতি হয় না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।