২০২১ সালে এক সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তাঁরা কখনও বীর্য দিয়ে গয়না বানান কিনা, সেই কথা ভেবেই মজার ছলে এই কাজ শুরু করেছিলেন আমান্ডা এবং জেসি। এখন সেই মজার কাজ পরিণত হয়েছে স্বনামধন্য পেশায়।
Sahely Sen | Published : Nov 6, 2023 7:06 AM IST / Updated: Nov 06 2023, 12:47 PM IST
ফ্যাশন দুনিয়ায় তাঁর শিল্পের শখ ছিল আগেই, সেইমতো শুরু করেছিলেন গয়না বানানোর কাজ। সেই কাজই ধীরে ধীরে পেশায় পরিণত হয়।
আমান্ডা বুথ এবং তাঁর স্বামী জেসি মুলিন, কানাডার এই দুই নাগরিক নিজের ক্রেতাদের আবদারে শেষমেশ শুরু করলেন এক অদ্ভুত ব্যবসা, যা সারা দুনিয়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
পুরুষের বীর্য এবং নারীর স্তন্য দিয়ে তাঁরা তৈরি করেন অলঙ্কার! শুধু অলঙ্কার নয়, বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্যও ফুটিয়ে তোলেন এই দুই উপকরণের দ্বারাই।
স্তন্য বা বীর্য জমা করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে মিহি পাওডার বানিয়ে তা দিয়ে মণ্ড তৈরি করে প্রস্তুত করা হয় গয়না। আমান্ডা এবং জেসি মুলিনের এই অভিনব শিল্পের চাহিদা ব্যাপক। দেশের বাইরে থেকেও তাঁদের কাছে প্রচুর অর্ডার আসে।
জিজ়ি জুয়েলারি এবং ব্রেস্ট মিল্ক নামক সেকশন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়াররা বেছে নিতে পারেন নিজেদের পছন্দসই বীর্য বা স্তন্যের গয়না। অবশ্য, অন্যান্য সেকশন থেকে অন্য দ্রব্যের গয়না বা ভাস্কর্যও কেনা যায়।
২০২১ সালে এক সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তাঁরা কখনও বীর্য দিয়ে গয়না বানান কিনা, সেই কথা ভেবেই মজার ছলে এই কাজ শুরু করেছিলেন আমান্ডা এবং জেসি। এখন সেই মজার কাজ পরিণত হয়েছে স্বনামধন্য পেশায়।
দেহের তরল দিয়ে শিল্প গড়ার পর তা যতই সুন্দর হোক, তৈরি করার আগের অভিজ্ঞতাটি মোটেই খুব সুখকর নয় বলে জানিয়েছেন শিল্পী আমান্ডা বুথ।
মাতৃদুগ্ধে খুব বেশি সমস্যা না হলেও, বীর্য দিয়ে গয়না বানানোর আগে মানুষজন যখন তাঁদের কাছে নিজের বীর্যের নমুনা পাঠান, তখন সেগুলি থেকে বেরোনো ভয়ানক দুর্গন্ধ সহ্য করেই কাজ করতে হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে, উপকরণ যতই বিতর্কিত হোক, সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে আমান্ডার এই অদ্ভুত কীর্তি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর কাজ দেখে বাহবা দিচ্ছেন নেটিজেনরা।