কোথাও কাটা হয় মাথা-কোথাও বিষপ্রয়োগ-কোথাও গুলি-এই দেশগুলোতে ধর্ষকের শাস্তি শুনলে শিউরে উঠবেন

সৌদি আরবে ভয়াবহ পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এখানে শরিয়া আইন প্রযোজ্য। ইসলামি আইন অনুসরণকারী এই দেশে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার হয়। ধর্ষণ বা খুনের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। চৌরাস্তায় সবার সামনে দোষীর শিরশ্ছেদ করা হয়। সবচেয়ে বড় কথা হল, আসামীকে আপিল করার সুযোগ খুবই সীমিত।

ইরানেও ইসলামি আইন অনুযায়ী ধর্ষকদের শাস্তি দেওয়া হয়। এখানে চৌরাস্তায় না হলেও, জেলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ইরানে আইনি স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পাকিস্তান ২০২০ সালে আইন সংশোধন করে ধর্ষকদের ফাঁসির আইন করেছে। দলবদ্ধ ধর্ষণ, নাবালিক ধর্ষণের ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে অঙ্গহানি করা হয়।

বাংলাদেশ ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল পাশ করেছে। এই আইনে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

মিশরে নাবালিক ধর্ষণ বা অপহরণ করে ধর্ষণের ক্ষেত্রে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হয়। মিশরে শরিয়া নীতি ছাড়াও দেওয়ানি আইনও কার্যকর।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ধর্ষণের শাস্তি বেশ কঠোর। নাবালিক ধর্ষণকে আরও গুরুতর অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। এখানে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, হয় ফাঁসি, নয়তো গুলি করে।

চিনে ধর্ষণকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। এখানেও ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। চিনে ধর্ষকদের গুলি করা হয় অথবা বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মারা হয়।

নির্ভয়া কাণ্ডের পর ভারতে কঠোর আইন হয়েছে। ২০১৮ সালে দণ্ডবিধিতে সংশোধন করে ১২ বছরের কম বয়সী শিশু ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়েছে।