ভূমিকম্প বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। চারিদিকে এখনও স্পষ্ট ধ্বংসস্তুপের ছবি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙাচোরা বাড়িঘর। তারই মধ্যে চলছে উদ্ধারকার্য। আর এই ভূমিকম্পের মধ্যেই প্রকাশ্যে তালিবানি অত্যাচারের ছবি। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও তারা শরিয়া আইনে অনড়।
25
মহিলাদের উদ্ধারে অনীহা
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আটকে পড়া পুরুষদের উদ্ধার করা হলেও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে থাকা নারীদের উদ্ধারে অনীহা তালিবানদের। কারণ, উদ্ধারকারীরা নিজেরাই দ্বিধায় রয়েছেন যে অন্যদের বাঁচাবেন নাকি নিজেদের। কারণ তালিবানি নিয়মে যে মহিলাদের স্পর্শ করা নিষেধ। ফলে চোখের সামনে মহিলারা মরতে বসলেও তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে না তালিবানরা।
35
মহিলাদের স্পর্শ নিষেধ
জানা গিয়েছে, সেখানে কোনও মহিলা উদ্ধারকারী দল নেই। তাই আফগানিস্তানে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে থাকা মহিলাদের উদ্ধার করাও যাচ্ছে না। তাদের আর্তনাদ শুনেও কান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে মহিলাদের যদি মৃত্যুও হয়, তাহলেও কিছু করা যাচ্ছে না। একমাত্র যদি মৃত মহিলাদের পোশাক ঢিলেঢালা হয়, তবেই তাদের পোশাক টেনে দেহগুলিকে বের করা হচ্ছে। মৃত্যুর পরও তাদের কোনওভাবে সরাসরি ত্বক স্পর্শ করা যাবে না। যদি কেউ মহিলাদের স্পর্শ করেন, তাহলে তালিবান উদ্ধারকারীদের হাত কেটে নেবে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে আফগানিস্তান। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিও সায়েন্সেসের মতে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে ৬.২ মাত্রায় কম্পন অনুভূত হয়। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েকটি কম্পন হয়েছিল। যার ফলে ২,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৩,৬০০ জনেরও বেশি আহত হন। এই ভূমিকম্পগুলো গ্রামগুলোকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় এবং হাজার হাজর মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
55
দুর্ভোগ আরও বাড়ছে
এদিকে ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সাহায্যকারী গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে তাদের সম্পদ ফুরিয়ে আসছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থাগুলো খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা সরবরাহের প্রয়োজনের কথা জানিয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে, একের পর এক কম্পনের কারণে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে স্থানীয় মানুষদের। তার উপর তালিবানি ফতোয়ায় নাভিশ্বাস ওঠার যোগার!