ইসরাইলি সেনাবাহিনী হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে তাকে ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এ হামাসের আকস্মিক হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে দীর্ঘকালীন থাকার জন্য প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে তাকে ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এ হামাসের আকস্মিক হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে দীর্ঘকালীন থাকার জন্য প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। গাজা উপত্যকায় হামাসের শীর্ষ নেতা সিনওয়ারকে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটানো হামলার মূল হোতা বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে সিনওয়ারকে এই সপ্তাহের শুরুতে একটি টার্গেটেড অভিযানে ইজরায়েল নিকেশ করেছে।
শনিবার ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রকাশ করা ফুটেজে, সিনওয়ার, তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ৬ অক্টোবর রাতে গাজায় তাদের পারিবারিক বাড়ির নিচে একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে যেতে দেখা গেছে। ইজরায়েলি সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারির মতে, পরিবারটি দীর্ঘকালীন থাকার জন্য সেখানে বসতি স্থাপন করছিল বলে মনে হয়েছে।
ভিডিওতে সিনওয়ার এবং তার ছেলেকে বারবার একটি সুড়ঙ্গে উঠানামা করতে দেখা যায়, খাবার, জল, বালিশ, একটি প্লাজমা স্ক্রিন এবং গদি সহ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায় তাদের। এই ফুটেজটি পরের দিন হামাসের হামলা চালানোর সময় সিনওয়ারের দূরদর্শিতা এবং দীর্ঘ সময় ভূগর্ভে থাকার প্রস্তুতির একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এর আগে সিনওয়ারের শেষ মুহূর্তের ড্রোন ফুটেজ শেয়ার করেছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি এমন সিনওয়ারকে, দক্ষিণ গাজার শহর রাফায় একটি তীব্র গোলাগুলির সময় ইজরায়েলি বাহিনী খুঁজে পেয়েছিল বলে জানা গেছে। ড্রোন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ইজরায়েল বাহিনী একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে তাকে ঘিরে ফেলার সময়, আহত সিনওয়ার ড্রোনের দিকে একটি বস্তু ছুড়ে মারছে। যে ভবনে সিনওয়ার লুকিয়ে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে, সেই ভবনে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক গুলি চালানোর ফুটেজও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, একটি ইজরায়েলি ময়নাতদন্তে নির্ধারিত হয়েছে যে সিনওয়ার মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
যুদ্ধের শুরুতে ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর পর ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজায় নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সিনওয়ারের হামাসের সঙ্গে সামরিক এবং রাজনৈতিক যোগের ইতিহাস ছিল এবং তাকে আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হত। তার মৃত্যুকে হামাসের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।