প্রাথমিক ও অসমর্থিত খবরে গাজা উপত্যকার হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে নিহত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ও অসমর্থিত খবরে গাজা উপত্যকার হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই নেতা ইজরায়েলের সামরিক অভিযানে নিহত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে চলা একটানা উত্তেজনার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। এক্স-এ আইডিএফ-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "গাজায় আইডিএফ অভিযানে ৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। আইডিএফ এবং আইএসএ তাদের একজন ইয়াহিয়া সিনওয়ার হতে পারে বলে সম্ভাবনা যাচাই করছে। এই পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না,"।
"যে ভবনে সন্ত্রাসীদের নিহত করা হয়েছে, সেখানে কোনো পণবন্দি থাকার কোনো কথা ছিল না। এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাওয়া বাহিনীগুলি প্রয়োজনীয় সতর্কতার সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে," আইডিএফ-এর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে।
এদিকে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃতদেহ বলে দাবি করা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সরকারি কোনো নিশ্চিতকরণ এখনও মেলেনি। নিউইয়র্ক টাইমস ইজরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সিনওয়ারের সন্দেহজনক মৃতদেহ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ইজরায়েলে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইজরায়েলি বিমান বাহিনী হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের জঙ্গিদের ব্যবহৃত একটি সমাবেশ স্থলে সুনির্দিষ্ট বিমান হামলা চালায়। সেনাবাহিনী, শাবাক (ইজরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) এবং দক্ষিণ কমান্ড সহ বিভিন্ন সামরিক শাখা থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই হামলা চালানো হয়। লক্ষ্যবস্তুটিকে উত্তর গাজার “আবু হাসান” স্কুল ক্যাম্পাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা সামরিক কার্যকলাপের জন্য পুনর্ব্যবহার করা হয়েছিল।
হামলার সময়, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের অনেক কার্যকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
হামাসের পরিচালিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ১৯ জন প্যালেস্তাইনের মানুষ নিহত হয়েছে।