আইডিএফ যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে, তাতে উত্তর সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে হিজবুল্লাহর হুমকি নিরপেক্ষ করার জন্য ইজরায়েলের প্রচেষ্টার ইঙ্গিত মিলেছে। এই অঞ্চলে হিজবুল্লাহর কর্মকাণ্ডের ক্ষমতার উপর একটা বড় ধাক্কা বলে বিবেচিত হচ্ছে নাইমের মৃত্যু।
লেবাননের নাবাতিয়েহতে সোমবার ইজরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর রাদওয়ান বাহিনীর অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র শাখার প্রধান মুহাম্মদ কামেল নাইম নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। আইডিএফ জানিয়েছে, ইজরায়েলি ভূখণ্ডে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমন্বয়কারী ছিলেন নাইম।
আইডিএফ যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে, তাতে উত্তর সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে হিজবুল্লাহর হুমকি নিরপেক্ষ করার জন্য ইজরায়েলের চলমান প্রচেষ্টার ইঙ্গিত মিলেছে। এই অঞ্চলে হিজবুল্লাহর কর্মকাণ্ডের ক্ষমতার উপর একটা বড় ধাক্কা বলে বিবেচিত হচ্ছে নাইমের মৃত্যু। লেবাননের নাবাতিয়া অঞ্চলে বিমান বাহিনীর একটি বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠনের রাদওয়ান ইউনিটের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কমান্ডার সন্ত্রাসী মুহাম্মদ কামাল নাইমকে হত্যা করেছে,” এক্স-এ এক বিবৃতিতে লিখেছে আইডিএফ।
এর আগে হিজবুল্লাহ ইজরায়েলের উত্তরাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক রকেট হামলা চালায়। আইডিএফ-এর মতে, লেবানন থেকে মোট পনেরোটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়। ইসরায়েলি বিমান বাহিনী (আইএএফ) বেশ কয়েকটি রকেট আটকাতে সক্ষম হয়েছে, অন্যগুলো খোলা জায়গায় পড়েছে, যার ফলে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় শহর কারমিয়েল-এ কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, যেখানে সরাসরি রকেটের আঘাত হানে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের প্রতিবেদনে সম্ভাব্য আহতের কথা বলা হয়েছিল; যদিও পরে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে তাদের মূল্যায়নে কোনও হতাহতের ঘটনা প্রকাশ পায়নি, যদিও একটি পার্ক করা গাড়িতে রকেট আঘাত করার ফলে আগুন লেগে যায়।
রকেট হামলার জবাবে, আইডিএফ হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত লঞ্চ সাইটগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যাতে ইজরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আরও হামলা চালানোর জন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর সক্ষমতা নষ্ট করা যায়। হামলার সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মধ্য এবং উত্তর গ্যালিলি অঞ্চলে সাইরেন বাজানো হয়।