
অপারেশন সিন্দুর: ভারত অপারেশন সিন্দুর চালিয়ে পহলগাম জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে। পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিকে ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনী, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় নৌবাহিনী যৌথভাবে এই হামলা চালিয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী হামলা চালাতে রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। এই বিমানগুলি SCALP ক্রুজ মিসাইল এবং Hammer বোমা দিয়ে জঙ্গিদের আস্তানাগুলিকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। হামলাটি ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে থেকেই চালানো হয়েছে।
সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের জঙ্গি শিবিরগুলিকে লক্ষ্য করে বিশেষ গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে। কোনও ভারতীয় বিমানের ক্ষতি হয়নি। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, গুলপুর, ভিম্বর, চক আমরু, বাগ, কোটলি, শিয়ালকোট এবং মুজাফ্ফরাবাদে ৯টি স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের নির্মূল করা।
SCALP হলো দূরপাল্লার আকাশ থেকে মাটিতে আঘাত হানার ক্রুজ মিসাইল। এর পাল্লা ৪০০ কিমি পর্যন্ত। ১৩০০ কেজি ওজনের এই মিসাইল ৪০০ কেজি বিস্ফোরক বহন করে। ৫.১ মিটার লম্বা এবং ৬৩০ মিমি পুরু এই মিসাইলে মাইক্রোটার্বো TRI-60-30 ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।
মিসাইলটি নিখুঁতভাবে আঘাত হানার জন্য এতে ট্রিপল নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে। এটি ইনারশিয়াল নেভিগেশন, GPS এবং টেরেইন রেফারেন্স নেভিগেশন দ্বারা পরিচালিত হয়। ইমেজিং ইনফ্রারেড সিকার এবং নিজে থেকেই লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষমতা এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। এই মিসাইলকে জ্যামারের সাহায্যে ফাঁকি দেওয়া অত্যন্ত কঠিন।
Hammer হলো আকাশ থেকে মাটিতে আঘাত হানার অস্ত্র। এটি একটি গাইডেড বোমা। এই ধরনের বোমা যুদ্ধবিমানের সাহায্যে নিক্ষেপ করা হয়। নিক্ষেপ করার পর বোমাটি তার ডানার সাহায্যে গ্লাইড করে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছায়। এর পাল্লা ৭০ কিমি-এর বেশি। Hammer বোমার বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে। এর ওজন ১২৫ কেজি থেকে ১০০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর জন্য এটি INS, GPS, IR বা লেজার থেকে গাইডেন্স পায়। এটিকে জ্যামারের সাহায্যে থামানো অত্যন্ত কঠিন।