
ইজরায়েলি বাহিনী কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে বলে ইজরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আমেরিকার নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে হামাস নেতারা আলোচনা করার সময় এই আক্রমণ হয়েছে বলে জানা গেছে। ইজরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের সঙ্গে যৌথভাবে এই অভিযান চালানো হয়েছে। কাতারের সংবাদমাধ্যম অনুসারে, এই আক্রমণে হামাস নেতাদের তিনজন দেহরক্ষী এবং দুইজন কাতারি নিরাপত্তারক্ষীসহ কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। যদিও আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলার সময় একজন হামাস কর্মকর্তা বলেছেন যে, আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হওয়া হামাস নেতারা বেঁচে গেছেন।
আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে ইজরায়েল
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই আক্রমণের অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে আগে খবর বেরিয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটিকে "একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ইজরায়েলি অভিযান" বলে স্পষ্ট করেছে। আরও বলা হয়েছে, "ইজরায়েল এটি শুরু করেছে, পরিচালনা করেছে এবং সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করে।"
ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) তাদের এক্স পেজে এ বিষয়ে পোস্ট করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৭ই অক্টোবরের হামলার জন্য দায়ী হামাসের জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য, সুনির্দিষ্ট অস্ত্র এবং অতিরিক্ত গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং হামাসের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা হবে বলে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
কাতারের উপর ইজরায়েলের এই আক্রমণ যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টাকে দুর্বল করার আরেকটি প্রয়াস বলে আল জাজিরা জানিয়েছে। গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে কাতার এবং মিশর শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।
কাতার সরকারের নিন্দা
ইজরায়েলের এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। এটি একটি কাপুরুষোচিত কাজ এবং আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল-আনসারি বলেছেন। এই আক্রমণ হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্যদের বসবাসকারী আবাসিক এলাকায় লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।