
অশান্তির আগুন এখনও জ্বলছে নেপালে। প্রধানমন্ত্রীর পর থেকে ইস্তফা দিয়েছে কেপি শর্মা ওলির। পদত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল। বিক্ষোভের আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকরের। এছাড়া, আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন নেপালবাসী। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের জন্য অ্যাডভাজারি জারি করল বিদেশমন্ত্রক। সে দেশে আপাতত ভারতীয়দের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সঙ্গে এই সময় নেপালে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের।
নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। নেপালের বাসিন্দাদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অগ্নিগর্ভ নেপালে নাগরিকদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছে সেখানকার সেনা। তাতেও পরিস্থিতি আসেনি নিয়ন্ত্রণে।
সোমবার থেকেই উত্তাল নেপাল। মঙ্গলবারে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়। এই সবের মাঝে অ্যাডভাজারি জারি করে দিল বিদেশ মন্ত্রক। ভারতীয় নাগরিকদের আপাতত নেপাল যেতে বারণ করা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে নেপালে আছেন তাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং কাঠমান্ডুতে থাকা ভারতীয়দের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। প্রয়োজনে ৯৭৭-৯৮০৮৬০২৮৮১ এবং ৯৮৮-৯৮১০৩২ -এ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। চাইলে হোয়াটাসঅ্যাপও করা যাবে। জানা যাচ্ছে বেড়াতে গিয়ে নেপালে আটকে আছেন কিছু ভারতীয় নাগরিক।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়া ইস্যুতে জ্বলছে নেপাল। তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনে অস্বস্তিতে নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকার। ইতিমধ্যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২১ জন। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৫০ জন। জানা যায়, কেপি শর্মা ওলি সরকরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি সেদেশে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বাড়ে ক্ষোভ। রাস্তায় নামে তরুণ প্রজন্ম। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। কারফিউ জারি হয়েছে বীরগঞ্জ, ভৈরহাওয়া, বুটওয়াল, পোখরা, ইটাহারি এবং দামকে-তে। অনির্দিষ্টিকালের জন্য বন্ধ স্কুল। এখন স্থগিত পরীক্ষা।