একের পর ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত গোটা দেশ। গত ৩৫ দিন ধরে চলছে হামলা, প্রতি হামলা।
হামাস-ইজরায়েল সংঘাতের ৩৫ দিন পূর্ণ। ইতিমধ্যেই ইজরায়েলি সেনার হামলায় গাজায় নিহত প্যালেস্টাইন নাগরিকের সংখ্যা ১১ হাজার পেরিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে শয় শয় মহিলা ও শিশুর নামও। ক্রমে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে প্যালেস্টাইনের পরিস্থিতি। একের পর ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত গোটা দেশ। গত ৩৫ দিন ধরে চলছে হামলা, প্রতি হামলা। স্বশাসিত প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানা গিয়েছে শুক্রবার ফের ধারাবাহিক হামলা শুরু হয়েছে গাজায়। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবেই এই আক্রমণ বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার দিনভর চলেছে সংঘর্ষ।
ফের গাজায় ইজরায়েলি আক্রমণ
শুক্রবার উত্তর গাজ়ার আল-শিফা হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইজরায়েল। সেখানে চিকিৎসাধীন বেশ কিছু প্যালেস্টাইন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, হামলা চালানো হয়েছে গাজ়ার আল-রানতিসি শিশু হাসপাতালেও। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে ইজ়রায়েলি সেনার ট্যাঙ্কের গোলা আছড়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে, প্যালেস্টাইনের হাসপাতালে ইজরায়েলি আক্রমণের জেরে গাজ়ার ২০ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা পুরোপুরি বা আংশিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গাজায় বিপর্যস্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা
হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিপর্যস্ত গাজার চিকিৎসা পরিকাঠামো। ইতিমধ্যেই আংশিকভাবে বন্ধ গাজার ২০টি হাসপাতালের পরিষেবা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস শুক্রবার এই প্রসঙ্গে বলেছেন,'আমরা জানতে পেরেছি আল-শিফা হাসপাতালে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।' জানা যাচ্ছে গত ৭ অক্টোবর হামলা চালিয়েছিল হামাস বাহিনী। এরপর থেকেই গাজা ভূখণ্ডে বিদ্যুৎ সরাবরাহ বন্ধ করেছিল ইজরায়েল। ফলত হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা চালানো খুবই কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তাও জেনারেটরের সাহায্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা চালাচ্ছিল গাজার হাসপাতালগুলি। কিন্তু মজুত থাকা ডিজেলও শেষ হতে বসায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কার্যত বন্ধ ওষুধ-সহ অত্যাবশকীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহও। এই পরিস্থিতিতে রোগী মৃত্যুর আশঙ্কাও ক্রমশ বাড়ছে।