ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে হামলায় গাজা উপত্যকার হামাস সরকারের প্রধান রাউই মুশতাহা, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর নিরাপত্তা পোর্টফোলিও সামেহ আল-সিরাজ এবং কমান্ডার সামি ওদেহ নিহত হয়েছেন।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহ ও হামাসের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। গাজায় হামাস সরকারের প্রধানসহ তিন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। এক বছর ধরে হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ চলছে। ইজরায়েলে হামাসের হামলার পর লাগাতার হামলার মাধ্যমে গাজাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে হামলায় গাজা উপত্যকার হামাস সরকারের প্রধান রাউই মুশতাহা, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর নিরাপত্তা পোর্টফোলিও সামেহ আল-সিরাজ এবং কমান্ডার সামি ওদেহ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, তিন মাস আগে চালানো হামলায় তিনজনই নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারের ডান হাত ছিল মুশতাহা
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, মুশতাহা হামাসের সবচেয়ে সিনিয়র নেতাদের একজন। হামাস বাহিনী মোতায়েনসহ অন্য সব সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিতেন। মুশতাহা হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ডানহাতি ছিলেন। ২০১৫ সালে, মার্কিন বিদেশ দপ্তর মুশতাহাকে বিশ্ব জঙ্গি ঘোষণা করে। ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস মুশতাহাকে হামাসের গাজা পলিটব্যুরোর সদস্য হিসাবে বর্ণনা করেছে, যা তার আর্থিক বিষয়গুলিও তদারকি করে। নিহত আরেক নেতা সিরাজ পলিটব্যুরো সদস্য। ইসিএফআর জানিয়েছে, নিহত তৃতীয় নেতা ওদেহ হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার নেতা ছিলেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হয়
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয় ৭ অক্টোবর। এই যুদ্ধে ১২০৫ ইজরায়েলি নিহত হয়। এদের অধিকাংশই বেসামরিক। এর জবাবে গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। গাজা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজায় এ পর্যন্ত ৪২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকা থেকে লাখ লাখ মানুষ পালিয়ে গেছে। গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।