বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) হিজবুল্লাহর ঘাঁটি দাহিয়েতে ভারী বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। এর আগে এলাকার কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। খবরে বলা হয়েছে, হামলায় হিজবুল্লা কর্মকর্তা হাশেম সাফিউদ্দিনকে টার্গেট করা হয়।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জানিয়েছে যে তারা লেবাননের বেইরুটে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। সীমান্তের কাছে ইজরায়েলি সেনা এবং জঙ্গিদের মধ্যে স্থল যুদ্ধের পাশাপাশি দেশজুড়ে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলিতে বিমান হামলার সঙ্গে এই পদক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। খবরে বলা হয়েছে, বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কর্মকর্তা হাশেম সাফিউদ্দিনকে টার্গেট করা হয়েছে, যিনি গোষ্ঠীর প্রাক্তন নেতা হাসান নাসরাল্লার সম্ভাব্য উত্তরসূরি বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর তিনি একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারের ভিতরে লুকিয়ে আছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, সাফিউদ্দিনের অবস্থা এখনও অনিশ্চিত।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দাহিয়ে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে, একটি হামলায় এক সপ্তাহ আগে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইজরায়েলি কর্মকর্তার কথা উল্লেখ করে মার্কিন সংবাদসংস্থা অ্যাক্সিওস জানিয়েছে যে হামলার লক্ষ্য ছিল হাশেম সাফিউদ্দিন, যাকে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হত, যিনি এক সপ্তাহ আগে নিহত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এএফপির জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এই রিপোর্ট নিশ্চিত করেনি।
হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে যে ইজরায়েল বৃহস্পতিবার দেরিতে দক্ষিণ বেইরুট গোষ্ঠীটির ঘাঁটিতে টানা ১১টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এর আগে, অন্যান্য সূত্র বেইরুট বিমানবন্দরের কাছে একটি গুদামকে লক্ষ্য করে ইজরায়েলি হামলার খবর প্রকাশ করেছে। হিজবুল্লা দাবি করেছে যে তারা সীমান্ত বরাবর ফাতিমার গেটে অগ্রসর হওয়ার ইজরায়েলি প্রয়াসকে প্রতিহত করেছে। গোষ্ঠীটি আরও বলেছে যে তারা সীমান্ত পার করে রকেট নিক্ষেপ অব্যাহত রেখে অগ্রসরমান ইজরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণ করেছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বোমা হামলায় ১,০০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে এবং ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় সংঘর্ষে লিপ্ত ইজরায়েল তার উত্তর সীমান্ত সুরক্ষিত করতে এবং গত বছর হিজবুল্লাহর হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ৬০,০০০ এরও বেশি ব্যক্তির নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে তার ফোকাস আরও বিস্তৃত করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।