ইজরায়েলি পুলিশ ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সাতজন ইহুদি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজারবাইজানি বংশোদ্ভূত এই দলটি রামাত ডেভিড এবং নেভাটিম বিমানঘাঁটিসহ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ সহ ৬০০ টি মিশন সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ।
ইজরায়েলি পুলিশ ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সাতজন ইহুদি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজারবাইজানি বংশোদ্ভূত এই দলটি সামরিক ও দেশের নানা পরিকাঠামোগত স্থান সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং ইরানের জন্য সম্ভাব্য টার্গেট তৈরি করার চেষ্টা করেছিল বলে খবর। এই কাজে তারা নাকি ৬০০ টি মিশন সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ। তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে সন্দেহভাজনরা অর্থও পেয়েছিল বলে দাবি করেছে।
“আলখান” এবং “ওরখান” নামে দুই ইরানি গোয়েন্দা আধিকারিক এই দলটিকে পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ। জেরুজালেম পোস্ট অনুসারে, তাদের অভিযুক্ত গুপ্তচরবৃত্তির সাথে জড়িত উল্লেখযোগ্য স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটি, নেভাটিম বিমানঘাঁটি, গিলোট এবং গোলানি ব্রিগেড ঘাঁটি যেখানে গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় চার সেনা নিহত হয়েছিল।
সন্দেহভাজনদের “তাদের হ্যান্ডলারদের কাছ থেকে স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির মানচিত্র দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে গোলানি ব্রিগেড ঘাঁটির মানচিত্রও ছিল,” এমনই তথ্য দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় অ্যাটর্নি। হাইফা এবং হাইফার উপকূলীয় উপশহর থেকে আজারবাইজানি বংশোদ্ভূত সাতজন ইহুদি ইজরায়েলি সন্দেহভাজন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ আত্মীয় এবং একজন AWOL সৈনিক, প্রায় ৩৫ দিন ধরে আটক রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে দুজন নাবালক।
সন্দেহভাজনদের পদক্ষেপ “রাষ্ট্রের উপর নিরাপত্তাগত ক্ষতি করেছে,” ইজরায়েলি মূল্যায়ন অনুসারে এই ক্ষতি হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছেন একজন সিনিয়র ইজরায়েল নিরাপত্তা সংস্থার (ISA) কর্মকর্তা। তদন্তের সময় কর্তৃপক্ষ কয়েক ডজন নথি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং এই সপ্তাহের শেষের দিকে অভিযোগ আনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।