চেন্নাই থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত SDSC-SHAR, শ্রীহরিকোটার প্রথম লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে XPoSAT বা এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট। ৩১ ডিসেম্বর, রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে এর কাউন্টডাউন।
২০২৪ সালের সূচনায় নতুন উদ্যোগ নিয়ে শুরু হল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র দ্বিগুণ উদ্যম। নতুন বছরে পা রাখতে না রাখতেই সাফল্যের আরও বড় মাইলফলক ছুঁতে চলেছে ভারত (India)। মহাবিশ্বের একটি বিরাট বড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole) -এর মধ্যে। সেই রহস্য উদ্ঘাটনের অভিযানে এবার লেগে পড়তে চলেছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা। কৃষ্ণগহ্বর ও নিউট্রন স্টার নিয়ে গবেষণা করার জন্যই নতুন বছরের প্রথম দিন, অর্থাৎ ২০২৪-এর ১ জানুয়ারি মহাকাশের উদ্দেশে উৎক্ষেপঁণ করা হবে একটি রকেট। আমেরিকার পর ভারতই বিশ্বের সেই প্রথম দেশ, যা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণা করার জন্য মহাকাশে রকেট পাঠাতে চলেছে।
১ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চেন্নাই থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত SDSC-SHAR, শ্রীহরিকোটার প্রথম লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে XPoSAT বা এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট। ৩১ ডিসেম্বর, রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে এর কাউন্টডাউন। পোলিক্স (POLIX ) ও এক্সস্পেক্ট (XSPECT ) নামক দুটি পে-লোড সহ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
-
এক্স-রে ফোটন ও তার পোলারাইজেশন ব্যবহার করে কৃষ্ণগহ্বরের কাছের রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে XPoSAT । এছাড়া নিউট্রন স্টার সম্পর্কেও জানতে সাহায্য করবে এই স্যাটেলাইট। পোলিক্স (POLIX ) পে-লোডের থমসন স্ক্যাটারিং ব্যবহার করা হবে এর জন্য। মহাশূন্যে থাকা নিউট্রন স্টার নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করবে এই স্যাটেলাইট।
-
মহাকাশ থেকে যখন কোনও নক্ষত্র নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, অর্থাৎ কোনও তারার ‘মৃত্যু’ হয়, তখন তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও শেষ হয়ে যায়। মহাশূন্যে মৃত তারার জায়গায় তৈরি হয় একটি ব্ল্যাক হোল ও নিউট্রন স্টার। মহাশূন্যে সবথেকে বেশি মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে কৃষ্ণগহ্বরে। সবথেকে বেশি ঘনত্ব হয় নিউট্রন স্টারের। এই কৃষ্ণগহ্বর ও নিউট্রন স্টার নিয়েই তথ্য সংগ্রহ করবে ISRO-র নতুন স্যাটেলাইট।