wonders of space: মহাকাশের মহাবিস্ময়! অজানা বস্তুর গতিবিধি ধরা পড়ল জেমস ওয়েবে

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ESA) জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের সাহাস্যের অজানা সেই জিনিসটি দেখতে পেয়েছে। কিন্তু সেটি কি তাই নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া।

 

Saborni Mitra | Published : Oct 2, 2023 6:35 PM IST

মহাকাশে একটি নতুন বস্তুর দেখা মিলল। সেটির ওজন বা ভর অনেকটা বৃহস্পতির মত, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ESA) জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের সাহাস্যের অজানা সেই জিনিসটি দেখতে পেয়েছে। কিন্তু সেটি কি তাই নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। বিজ্ঞানীরা দুটি অনুমান করছেন। একটি হল, বস্তুগুলি নীহারিকা অঞ্চলের বাইরে বেড়ে উঠেছে যেখানে উপাদানের ঘনত্ব সম্পূর্ণ নক্ষত্র তৈরির জন্য অপর্যাপ্ত ছিল। দ্বিতীয়টি হল, তারা এমন কোনও গ্রহ বা তারার চারপাশে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত মহাকর্ষীয় মিথস্ক্রিয়াগুলির কারণে বেরিয়ে গিয়েছিল।

গ্যাস পদার্থবিদ্যার গবেষকরা মনে করছে এটির ওজন প্রায় বৃহস্পতির মত। তবে পৃথক কোনও বস্তু নয়। বিজ্ঞানীদের অনুমান গ্রহগুলি শুধুমাত্র তারকা সিস্টেম থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। এটি সেইরকম কিছু হতে পারে। কিন্তু কী করে এটি বেরিয়ে এসেছে তার কোনও উত্তর নেই। য়্যাল অবজারভেটরি গ্রিনউইচের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডাঃ এড ব্লুমার বলেছেন এটি ওরিয়ন নেবুলায় দেখা গেছে। একটি তারকা গঠনকারী নক্ষত্রিক নার্সারি। সেখানে আগেই একাধিক গ্রহের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া গেছে। গ্রহের গঠন এবং বিবর্তনের যে মডেলগুলি দেখা যায় তারই একটি হতে পারে। জ্যোর্তিবিজ্ঞানী আরও বলেছেন, তারাই এটা প্রথম দেখেছেন। তিনি মনে করেন এর আগে কেউ এজাতীয় জিনিস দেখেছেন বলে তার মনে হচ্ছে না। তবে এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিষয় বলেও তিনি নিশ্চিত করছেন।

 

 

ওয়েব টেলিস্কোপ, যা ২০২১ সালে চালু হয়েছিল এবং ২০২২ সালে ডেটা সংগ্রহ করা শুরু করেছিল। মহাবিশ্বের অত্যাশ্চর্য ছবি তোলার সময় প্রথম মহাবিশ্বের বোঝার নতুন আকার দিয়েছে। কার্যকরী হওয়ার পর, ওয়েব প্রাচীনতম-পরিচিত গ্যালাক্সি এবং ব্ল্যাক হোলগুলির অস্তিত্ব প্রকাশ করেছে এবং অভূতপূর্ব ডেটার একটি ভেলা উন্মোচন করেছে। হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে ওয়েব প্রায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

 

Share this article
click me!