
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রবিবার নেপালে ৪.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে যার ফলে আফটারশকের আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে ৬ নভেম্বর, এই অঞ্চলে ১০ কিলোমিটার গভীরে ৩.৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
অগভীর ভূমিকম্পগুলো গভীর ভূমিকম্পের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। কারণ ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি হওয়ায় এগুলোর শক্তি বেশি নির্গত হয়, যার ফলে মাটিতে তীব্র কম্পন সৃষ্টি হয় এবং কাঠামো ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অন্যদিকে, গভীর ভূমিকম্পগুলো ভূপৃষ্ঠে আসার সময় শক্তি হারায়।
ভারতীয় এবং ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় নেপাল অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ। এই সংঘর্ষের ফলে প্রচণ্ড চাপ ও পীড়ন তৈরি হয়, যে চাপ ভূমিকম্পের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। নেপাল একটি সাবডাকশন জোনেও অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় প্লেট ইউরেশীয় প্লেটের নিচে চলে যাচ্ছে, যা চাপ ও পীড়ন আরও বাড়িয়ে তোলে।
নেপাল হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত, যা ভারতীয় এবং ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের ক্রমাগত সংঘর্ষের কারণে তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ একটি অঞ্চল। এই সংঘর্ষের ফলে ভারতীয় প্লেট ইউরেশীয় প্লেটের নিচে চলে যায়, যাকে সাবডাকশন বলা হয়। এটি পৃথিবীর ভূত্বকে প্রচণ্ড চাপ এবং পীড়ন তৈরি করে।
সাবডাকশন জোন এই চাপকে আরও বাড়িয়ে তোলে, যা নেপালকে ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এই সংঘর্ষ হিমালয় পর্বতমালার উত্থানেও ভূমিকা রাখে, যা এই অঞ্চলের সামগ্রিক ভূমিকম্পের কার্যকলাপ বাড়িয়ে দেয়। নেপালে ভূমিকম্পের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যার মধ্যে ২০১৫ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের মতো ঘটনাও রয়েছে।