কনের হবু বরের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে হয় মা-মাসি-কাকিমাদের, বিয়ের অদ্ভুত নিয়মের কথা জানেন?

হবু কনের মা-কাকিমারা হবু জামাইয়ের সঙ্গে দৈহিক মিলনের পরেই ওই যুবককে বিয়ের জন্য উপযুক্ত বলে বিচার করেন, তার পরেই অবিবাহিত তরুণীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

Sahely Sen | Published : Oct 27, 2023 11:50 AM IST

কোনও তরুণের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে ঠিক হলে সবার আগে ওঠে যৌন সঙ্গমের প্রসঙ্গে, যৌন মিলনের ক্ষেত্রে নতুন পুরুষটি কি পারদর্শী? সমস্ত রকমের ছলাকলা সে জানে কিনা, তা হয়ে ওঠে মেয়ের বাড়ির কৌতূহলের বিষয়, আর সেই বিষয়ে পরীক্ষা নিতে তাঁর সঙ্গে সরাসরি যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে হয় মেয়ের মাসি পিসি, অথবা কাকিমাদের। সারা দুনিয়ার কাছে এ আজব রীতি হতে পারে, কিন্তু একটি বিশেষ জাতির কাছে এটা অত্যন্ত জরুরি এক প্রথা। এর পিছনে যথেষ্ট যুক্তিও রয়েছে সমাজের। গোটা দুনিয়াকে চমকে দেওয়া এই রীতি প্রচলিত রয়েছে পূর্ব আফ্রিকার  ইউগান্ডায়। 


এখানকার বানিয়ানকোল বা এনকোল জনজাতির মধ্যে যখন কোনও তরুণীর বিয়ে স্থির হয় তখন সেই হবু কনের মাসি, কাকিমা, পিসিমাদের দায়িত্ব বেড়ে যায়। তাঁদের পরিবারের মেয়ের যে যুবকের সঙ্গে বিয়ে স্থির হয়েছে সেই যুবক সত্যিই দৈহিক মিলনের উপযুক্ত কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখার দায়িত্ব আসে তাঁদের ওপর। সেই দায়িত্বস্বরূপ তাঁদের পরীক্ষাপদ্ধতি হয় দৈহিক মিলনের মধ্যে দিয়ে। অর্থাৎ,  হবু বরের সঙ্গে তাঁরা প্রথমে দৈহিক মিলনে আবদ্ধ হন। পরীক্ষা করে দেখেন ওই পুরুষ শরীরি ছলাকলায় যথেষ্ট পারদর্শী কি না। তারপর তাঁরা দৈহিক মিলনের পর যুবককে বিয়ের জন্য উপযুক্ত বলে নির্বাচিত করলে, তবেই অবিবাহিত তরুণীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। 

 

তবে শুধু হবু বরের মিলন ক্ষমতা পরীক্ষা করাই নয়, মাসিমা, পিসিমা, কাকিমাদের আরও এক গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়। তাঁদের ওই মেয়েরও সতীত্ব পরীক্ষা করে দেখতে হয়। ওই তরুণী আগে কোনওভাবে কোনও পুরুষের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন কিনা, তা শারীরিক পরীক্ষা করে দেওয়া হয়। পরীক্ষার পরেই বিয়ে চূড়ান্ত হয়। এভাবেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই জনজাতিতে বিয়ের আগে হবু বরকে কনের মাসিমা, পিসিমারা পরীক্ষা করে নেন।

আরও খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে: https://whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D

Share this article
click me!