লক্ষ লক্ষ নবজাতকের মৃত্যুর কারণ জলবায়ু পরিবর্তন, নতুন গবেষণা রিপোর্টের ভয়ঙ্কর তথ্য দেখুন ছবিতে

সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বের ২৯টি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে চার শতাংশের মৃত্যুর কারণ জলবায়ু পরবর্তন। মূলত তাপমাত্রার চরম বৃদ্ধির কারণেই মৃত্যু হচ্ছে সদ্যোজাতদের।

গবেষণায় দেখা গেছে ২৯টি দেশে ৪ শতাংশ নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে। দেশগুলি মূলত আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে আর এশিয়ায়।

২০০১-২০১৯ সালের মধ্যে এই গবেষণা করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে,নবজাতকের মৃত্যুর প্রায় ১.৫ শতাংশই প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে সম্পর্কিত ছিল। পাল্টা তিন শতাংশ নবজাতকের মৃত্যুর প্রচর ঠান্ডার সঙ্গে যুক্ত।

জলবায়ু পরিবর্তন নবজাতকের তাপজনিত মৃত্যুর প্রায় ৩২ শতাংশ। মোট ১৭৫০০০ জন শিশুর প্রাণহানি হয়েছে।

পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চ (PIK), জার্মানি এবং একটি আন্তর্জাতিক দলের গবেষকরা অনুমান করেছেন৷ এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে।

জলবায়ু পরিবর্তনকে ঠাণ্ডা তাপমাত্রার কারণে নবজাতকের মৃত্যুর ঝুঁকি ৩০% এরও বেশি হ্রাস করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, যার ফলে প্রায় ৪৫৭০০০ কম নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

২৯ টি দেশে সমীক্ষায় দেখা গেছে বার্ষিক তাপমাত্রা গড়ে ০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। যার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। রিপোর্টে বলা হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলিতে চরম তাপমাত্রার কারণে শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে। বিশ্বউষ্ণায়নকেই গবেষকরা দায়ী করেছেন।

চারটি দেশে শিশু মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি। দেশগুলি হল পাকিস্তান, মালি, সিয়েরা লিওন ও নাইজেরিয়া। সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে প্রতি ১০০০০০ নবজাতকের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ১৬০ ছাড়িয়েছে।

নবজাতক শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে পক্রিয়া থাকে তা অনুন্নত। সেই কারণে তাদের দ্রুত বিপাক এবং ঘামের ন্যূনতম ক্ষমতা থাকে না। তাদের পক্ষে কার্যকরভাবে তাপ নির্গত করা কঠিন করে তোলে।

২০১৯ সালে, গবেষণায় প্রায় ২.৪ মিলিয়ন নবজাতকের মৃত্যুর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যা পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে সমস্ত মৃত্যুর প্রায় অর্ধেক (৪৭%) । এই মৃত্যুর ৯০% এরও বেশি নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে ঘটেছে, প্রাথমিকভাবে সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ায়।