
মৃত্যুবরণকারী রোগীদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপের একটি গবেষণায় দেখা গেছে মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত পরে হঠাৎ করে শক্তির বৃদ্ধি ঘটে। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ইইজি-র মাধ্যমে রেকর্ড করা এই ঘটনাটি হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়ার ৩০ সেকেন্ড থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল, যা গবেষকদের ব্যাখ্যা খোঁজার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।
এই শক্তি বৃদ্ধি কি আত্মার প্রস্থান?
অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট এবং অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডাঃ স্টুয়ার্ট হ্যামেরফ মনে করেন, শক্তির এই বৃদ্ধি আত্মার শরীর ত্যাগ করার ইঙ্গিত দিতে পারে। তিনি যুক্তি দেন যে চেতনা কোয়ান্টাম স্তরে বিদ্যমান, মস্তিষ্কের কোষের মধ্যে মাইক্রোটিউবুলগুলিতে সংরক্ষিত থাকে এবং মৃত্যুর পরেও টিকে থাকতে পারে।
কোয়ান্টাম চেতনা: একটি বিকল্প তত্ত্ব
ডাঃ হ্যামেরফের তত্ত্ব, থ্রু দ্য ওয়ার্মহোলে বৈশিষ্ট্যযুক্ত, পরামর্শ দেয় যে যখন শরীর মারা যায়, তখন মাইক্রোটিউবুলগুলিতে কোয়ান্টাম তথ্য মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যদি একজন ব্যক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়, তবে এই তথ্য ফিরে আসে, যা মৃত্যুর কাছাকাছি অভিজ্ঞতার ব্যাখ্যা দেয়। যদি না হয়, তিনি অনুমান করেন যে এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য আত্মা হিসাবে বিদ্যমান থাকতে পারে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা: অক্সিজেনের অভাব বা স্নায়বিক প্রক্রিয়া?
২০০৯ সালে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে মস্তিষ্কের কার্যকলাপের শেষ ঢেউ হাইপোক্সিয়া (অক্সিজেনের অভাব) এর কারণে হতে পারে। নিউরনগুলি বৈদ্যুতিক সম্ভাবনা হারালে, কার্যকলাপের একটি ধারাবাহিকতা উজ্জ্বল মৃত্যুর কাছাকাছি অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারে, যা শরীরের বাইরের সংবেদনগুলির ব্যাখ্যা দেয়।
চেতনা এবং মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক
বেশিরভাগ বিজ্ঞানী চেতনাকে কোয়ান্টাম ঘটনার পরিবর্তে জটিল স্নায়বিক মিথস্ক্রিয়ার জন্য দায়ী করেন। যদিও কেউ কেউ মৃত্যুর পর মস্তিষ্কের কার্যকলাপের ধারণাকে সান্ত্বনাদায়ক বলে মনে করেন, তা আত্মার প্রস্থানকে বোঝায় নাকি কেবল একটি শারীরবৃত্তীয় ঘটনা তা একটি উন্মুক্ত প্রশ্ন।