পূর্ব সাগরে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো উত্তর কোরিয়া।সিওলের সামরিক বাহিনী সূত্রে খবর ,পিয়ংইয়ং এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র আধুনিক পদ্ধতিতে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মধ্যে সংঘাত বহুদিনের। রাজনৈতিক চাপান উতর হোক বা যুদ্ধ সবেতেই ,এই দুই দেশের মনোমালিন্য অনেকটা ঠিক ভারত -পাকিস্তান সম্পর্কের মতো। যত দিন যায় ততোই বাড়ে তিক্ততা। সেই তিক্ততার বশেই ফের উত্তর কোরিয়া দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো পূর্ব সাগরে।যদিও মিশাইল পরীক্ষা বলে বিষয়টিকে হালকা করতে চাইছে আন্তর্জাতিক মহল । কিন্তু সিওলের সামরিক বাহিনী সূত্রে খবর ,পিয়ংইয়ং এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের আগে একটি কঠিন-জ্বালানি বিশিষ্ট মোটর পরীক্ষা করেছিল কিছুদিন আগে। এই পরীক্ষা সফল হতেই সেই আধুনিক পদ্ধতিতেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানিয়েছে যে তারা শনাক্ত করেছেন যে উত্তর পিয়ংগান প্রদেশের টংচাং-রি এলাকা থেকেই ওই দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়।
কোরিয় উপদ্বীপে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বেড়েছিল সামরিক উত্তেজনা। তবে তার জেরে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ ও অস্ত্র পরীক্ষা যে কতটা আন্তর্জাতিক শান্ত রক্ষার পরিপন্থী হবে এখন সেটাই ভাবার।
সংবাদ সূত্রে খবর ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি যথাক্রমে সকাল ১১.৩০ টায় ও ১২.০৫ এ দক্ষিণ কোরিয়াকে উদ্দেশ্য করে পূর্ব সাগরে নিক্ষেপ করা হয়। জাপান সাগরেও এসে পরে তার প্রভাব। জেসিএস এক বিবৃতিতে বলেন ,'আমাদের সামরিক বাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সবরকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেই নজরদারি ও সতর্কতা জোরদার করছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার উড়েছিল এবং প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছিল। দুই দেশের কিছু বিদেশ নীতি এই মাসের শেষের দিকে একটি বৈঠকে আলোচনা করা হবে। সরকারী কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি মারফত খবর কিম অনেক আগেই এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল যে ২০২৩ সালটি একটি ঐতিহাসিক সাল হতে চলেছে। তবে নববর্ষ যে এমন যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে শুরু হবে তা আন্দাজ করছিলেন না অনেকেই। এখন ভবিষতে কি হয় তা দেখতে শুধু সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন
শ্রদ্ধার পথেই রুবিকাকে হত্যা! দ্বিতীয় স্ত্রীর দেহ ৫০ টুকরে করল 'দিলদার' স্বামী