সংক্ষিপ্ত

দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করে দেহের ৫০টি টুকরো করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। আটক স্বামীকে জেরা করছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। স্ত্রী রুবিকার দেহের ১২টি অংশ উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা।

শ্রদ্ধা ওয়াকের ছায়া ঝাড়খণ্ডে। সেখানে স্ত্রীকে হত্যা করে দেহের ৫০টি টুকরো করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামীকে। মৃত মহিলার নাম রুবিকা। তাঁর স্বামী দিলদার আনসারি খুন করেছে বলে অভিযোগ। দম্পতি গত দুই বছর ধরে একসঙ্গ থাকত বলেও অনুমান পুলিশের। পুলিশের অনুমান রুবিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েই নিয়ে এসেছিল দিলদার। আইন অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বোরিও থানার এলাকা থেকে শনিবার সন্ধ্যেবেলা এক মহিলার দেহের ১২টি টুকরো উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মহিলার পরিবার অর্থাৎ রুবিকার পরিবার দীর্ঘদিন মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। নিখোঁজ ডায়েরি করে। তারপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

সেই সময়ই পুলিশ সাহেবগঞ্জ থেকে এক মহিলার দেহের কিছু টুকরোর সন্ধান পায়। সাহেবগঞ্জের এসপি সংবাদ সংস্থা এনআইকে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মহিলার দেহের ১২টি টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলির সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে। নিহত মহিলার স্বামী দিলদারকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছেন রুবিকা দিলদারের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফুঁসলে নিয়ে আসা হয়েছিল রুবিকাকে। তারপরই তাঁকে হত্যা করা হয়। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহের ৫০টি টুকরে করে স্বামী। প্রাথমিক তদন্তে তেমনই অনুমান করছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দিলদার একটি ধারালো বস্তু বা বৈদ্যুতিক কাটার ব্যবহার করে রুবিকার দেহ টুকরো টুকরো করেছিল। কিন্তু দিলদার কেন খুন করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্রের খবর দিলদারকে জেরা করা হচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান দিলদারে বাড়িতেও রুবিকার কথা জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। সত্য ঢাকতেই সে রুবিকাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আদতে তার অভিসন্ধি সফল হয়নি।

ঝাড়খণ্ডের ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা রহস্যের কথা।কারণ আফতাব আমিন পুনাওয়ালা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করেছিল। তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্রদ্ধার দেহের ৩৫টি টুকরো করেয তারপর সেগুলি জঙ্গলে ফেলে আসে একএকদিন। মে মাসে শ্রদ্ধাকে হত্যাকরা হয়েছিল। ডিসেম্বরেই সেই খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুনাওয়ালের শ্রদ্ধার দেহ সংরক্ষণ করার জন্য বাড়িতে এটকি ৩০০ মিলিলিটারের ফ্রিজার কিনেছিল। আফতাব আমিনের এজাতীয় কর্মকাণ্ডে সামনে আনে তার বিকৃত রুচিকে। যাইহোক শ্রদ্ধার পরই এদাতীয় হত্যাকাণ্ডের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

বারান্দা থেকে দুধের শিশুকে ছুঁড়ে ফেলে দিল বাবা, দাম্পত্য বিবাদের জের বলে জানাল পুলিশ

পাক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল দেশ, মোদীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির

তাওয়াং নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি, দাবি জানাল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের