উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া একটি রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পরেই তাদের দিকে তাকে করে ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো উত্তর কোরিয়া।পরপর তিনটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোঁড়ার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে
বছরের শেষ দিনেও বিরাম নেই কিন জং উনের। উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে তাক করে পরপর তিনটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে বলে অভিযোগ দক্ষিণ কোরিয়ার। উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া একটি রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পরেই তাদের দিকে তাকে করে ছোঁড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র।তবে এবার পরপর তিনটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোঁড়ার ফলে বেজায় চটেছে সিওলও।দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর উপদ্বীপে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করছিলো দক্ষিণ কোরিয়া।কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় তাদের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার ছোড়া পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন ৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পূর্ব সাগরের (জাপান সাগর) জলে পড়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি’ এ বিষয়ে তেমন স্পষ্ট কিছু জানায়নি। সম্প্রতি জাপানের উপকূলের অদূরের ওই এলাকাতেই পরমাণু অস্ত্রবাহী হোয়াসং সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রের ধারাবাহিক পরীক্ষা করেছিল কিমের সেনা।এটি কি সেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষারই ফল নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো কিমের দেশ ? উত্তর খুঁজছে বিশেষজ্ঞমহল।
তবে থেমে নেই দক্ষিণ কোরিয়াও। উত্তর কোরিয়ার এহেন আচরণের জবাবে উত্তর কোরিয়াকে কড়া বার্তা দিলো সিওল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, “দেশের সুরক্ষায় আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত।” প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য গত ২৬ শে ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় আচমকাই ঢুকে পড়ে কিমের ড্রোন বাহিনী। তাদের ঠেকাতে পাল্টা গুলিও চালায় দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা।
মূলত আমেরিকাকে নিশানা করেই আইসিবিএম ‘হোয়াসং-১৭’ তৈরির কাজ শুরু করেছিল উত্তর কোরিয়া। আমেরিকার প্রধান শহরগুলিতে পরমাণু হামলা চালানোর জন্যই এই ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল কিমের দেশ। জানা গেছে ৬০০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর কোরিয়ার উত্তরপ্রান্ত থেকে আলাস্কাতে হামলা চালানোর লক্ষ্যেই এই নয়া ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করা হয়েছে। তবে কিমের এই হুঁশিয়ারিকে হালকাভাবে নেননি মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনও। তিনিও ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সন্তর্পনে।