একসময় পোপ বেনেডিক্টের অব্যবস্থাপনার দিকেও প্রশ্ন তুলেছিল গোটা ক্যাথলিক সমাজ, কেন ? জানুন

পোপ বেনেডিক্ট, গত ১০০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম জার্মান পোপ যিনি যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া একটি চার্চকে তীব্র ভৎসর্না করেছিলেন। সেই সময় তার অব্যবস্থাপনার দিকেও প্রশ্ন তুলেছিল গোটা ক্যাথলিক সমাজ।

 

Web Desk - ANB | Published : Dec 31, 2022 12:10 PM IST

পোপ বেনেডিক্ট, গত ১০০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম জার্মান পোপ যিনি যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া একটি চার্চকে তীব্র ভৎসর্না করেছিলেন। সেই সময় তার অব্যবস্থাপনার দিকেও প্রশ্ন তুলেছিল গোটা ক্যাথলিক সমাজ। তিনি প্রগতিশীল ও রক্ষণশীলদের মধ্যে মেরুকরণও করেছিলেন। ২০০৫ সালে দায়িত্বে আসার পর তিনি জড়িয়ে পড়েন একাধিক বিতর্কে। এই বিতর্ক ধামা চাপা দিতেই ২০১৩ সালে পোপের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তিনি । কিন্তু তার পদত্যাগের পরও ভ্যাটিকানের অভ্যন্তরে তার উপস্থিতি মতাদর্শগতভাবে ক্যাথলিক সমাজকে দুভাগে ভাগ করে দিয়েছিলো। পরবর্তীকালে পোপ ফ্রান্সিস পোপের পদে আসীন হলে ,তিনি ক্যাথলিক সমাজের বিভিন্ন স্তরে তার প্রগতিশীল চিন্তাভাবনাগুলির বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। তার এই কাজ অনেকাংশেই ছিল রক্ষণশীল ক্যাথলিক -বিরোধী। তখন রক্ষণশীলরা পোপ বেনেডিক্টকেই তাদের ঐতিহ্যের পরিপন্থী ধর্মগুরু হিসেবে মানতে শুরু করে। এমনকি সেসময় অনেককেই বলতে শোনা যেত যে পোপ বেনেডিক্টই রক্ষণশীল ক্যাথলিকদের যোগ্য অভিভাবক।

তবে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল পোপ বেনেডিক্টের। এমনকি পোপ বেনেডিক্ট একসময় পোপ ফ্রান্সিসের গুণমুগ্ধ সমর্থকও ছিলেন। তার সঙ্গে দেখা করতে আসা তার প্রশংসকদের তিনি প্রায়ই বলতেন ,'আমাদের একজন পোপ আছেন ,তার নাম ফ্রান্সিস। '

তিনি ভীষণ ভালো পিয়ানো বাজাতে পারতেন। তিনি পিয়ানো অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন বেশ কিছু বছর। তার মতো ধর্মতত্ববিদ খুব কমই ছিল ভ্যাটিকান সিটিতে। তবে দুর্ধষ্য ধর্মতত্ববিদ হলেও নেতা হিসেবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দুর্বল। নিজের সম্পর্কে এমন স্বীকারোক্তি তিনি নিজেই বলেছেন অনেকবার বিভিন্ন বক্তৃতায়। এমনকি ভ্যাটিকান আমলাতন্ত্রের উপর নিজেকে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি বার বার দুষেছেনও নিজেকে। যার ফলস্বরূপ দেখা যায় যে তার ৮ বছরের রাজত্বকালে তিনি হোঁচট খেয়েছেন বার বার। সংকটকাল শক্তহাতে সামলাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি।

পাদ্রীদের দ্বারা শিশুদের যৌন নির্যাতন বন্ধ করার জন্য তিনিই প্রথম কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। বরং তার জারি করা নির্দেশের ফলে পশ্চিমে চার্চে আসা লোকের সংখ্যা কমতে লাগলো দ্রুত। ইউরোপে এই ঘটনা এমন রূপ নিলো যে তাকে পদত্যাগ করেই তবে সামাল দিতে হয় পরিস্থিতি।

আরও পড়ুন 

বর্ষশেষের বেদনায় বিহ্বল বিশ্ব, চলে গেলেন ভ্যাটিকান সিটির প্রাক্তন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা, তাঁর মায়ের মৃত্যুতে সমবেদনা জানালেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী

Share this article
click me!