করোনাভাইরাসের সঙ্গে চিনারা প্রবল যুদ্ধ করেছে। বর্তমানেও নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে মহামারি প্রসঙ্গ। নতুন বছরের স্বাগত ভাষণেই করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ শি জিংপিং-এর মুখে।
করোনাভাইরাস নতুন করে উদ্বোগ বাড়াচ্ছে চিনে। সম্প্রতি চিন থেকে ভারত বা ইরানে আসা পর্যটকদের অনেকেই কোভিড-১৯ পজিটিভ। অন্যদিকে করোনাভাইরাস এখনও কঠিন চ্যালেঞ্জ - এই মন্তব্য করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেজিং-কে তা নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে বলেছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর ভাষণেই করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।
শি জিংপিং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়া সময় বলেন, 'আমরা এখন কোভিড-১৯ এর প্রতিক্রিয়ার একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছি। যেখানে এখনও কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েগেছে। এই গোটা সময়ের যাত্রাপথ মোটেও সহজ ছিল না। কারণ আমাদের দেশকে একটি অভূতপূর্ব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। একাধিক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়েছে।' জাতীয় টেলিভিষণেই শি-এই বক্তব্য সম্প্রচারিত হয় ৩১ ডিসেম্বর। সেখানে তিনি বলেন এই সময়ের মধ্যে চিনের বাসিন্দাদের একাধিক সমস্যার সামনে দাঁড়াতে হয়েছে।
চিনে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও বেজিং এই সম্পর্কে কোনও বিস্তারিত তথ্য এখনও দেয়নি। তারপরেও এদিনের ভাষণে শি বলেন, 'অসাধারণ প্রচেষ্টার সাথে, আমরা অভূতপূর্ব অসুবিধা এবং চ্যালেঞ্জের উপর জয়লাভ করেছি এবং এটি কারও জন্য সহজ যাত্রা ছিল না।' তবে শি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেছেন, কোভিড-১৯ প্রক্রিয়াটি নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এদিন শি জিংপিং বলেন, কোভিড মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের মানুষের জীবনকে সর্বাধিক প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধে বাড়ান হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির সঙ্গে দেশের মানুষ অনেক অসুবিধের মধ্যেও মানিয়ে নিয়েছে। মহামারি পরিস্থিতির মোকাবিলা তারা যে সাহসের সঙ্গে করেছেন বলেও দাবি করেছেন শি। তবে দেশের মানুষের কাছে এই যাত্রা খুব একটা সহজ ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে এদিন শি জিংপিং তাঁর শূন্য কোভিড নীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। চলতে মাসের গোড়ার দিকে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে শূন্য কোভিডের কঠোর নীতি কিছুটা হলেও শিথিল করতে বাধ্য হয়েছিল তাঁর প্রশাসন। তারপরই চিনে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে বেজিং জানিয়েছে পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ জানুয়ারি খুলে দেওয়া হবে চিনের আন্তর্জাতিক সীমান্ত। বাতিল করে হবে পুরনো কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা। চিনা সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে বর্তমানে গোটা বিশ্বের মধ্যেই উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ আবার নতুন করে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
নতুন বছরের প্রথম দিনে নেই বাড়তি লোকাল ট্রেন বা বাস, ভিড় সামলাতে অন্যপথে মেট্রো
বর্ষশেষের বেদনায় বিহ্বল বিশ্ব, চলে গেলেন ভ্যাটিকান সিটির প্রাক্তন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট
বরুণ গান্ধীকে কি ভারত জোড়ো যাত্রায় স্বাগত জানান হবে? প্রশ্নের উত্তর দিলেন রাহুল গান্ধী